বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার, GBP/USD পেয়ারের তুলনামূলকভাবে দুর্বল দরপতন অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে, এবং মার্কিন ডলারের মূল্য অবশেষে উর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের বর্তমান দরপতন খুবই দুর্বল এবং প্রায় যেকোনো পরিস্থিতিতে এটি অব্যাহত থাকা উচিত। এই সপ্তাহে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন মার্কিন ডলারকে সমর্থন করেছে, যেমনটি বেশ কিছুদিন ধরে ঘটেনি। যাইহোক, শুক্রবার প্রকাশিতব্য বেকারত্ব এবং নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে ট্রেডাররা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল আগামী সপ্তাহে ডলারের মূল্যের প্রবণতা নির্ধারণ করবে। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শ্রম বাজার এবং এর পরিস্থিতি কেবলমাত্র একটি বিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক বিষয় হিসেবে নয়, ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের উপর এটির ব্যাপক প্রভাব বিবেচনা করেও এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এই পেয়ার বুধবারের প্রবণতার চেয়ে ফ্ল্যাট রেঞ্জে বেশি ট্রেড করেছে। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে, কিন্তু গতকাল ট্রেডাররা সক্রিয়ভাবে এই পেয়ার বিক্রিতে তেমন কোন আগ্রহ দেখায়নি। মার্কেটের ট্রেডাররা বেকারত্ব এবং শ্রম বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে বলে আজকে অনুরূপ পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে। গতকাল, 1.3272 লেভেল কাছাকাছি গঠিত প্রথম দুটি সিগন্যাল থেকে ট্রেড করা সম্ভব ছিল। মূল্য 20 পিপস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর থেকে প্রথম ট্রেডটি ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয় শর্ট পজিশনটি এখনও ধরে রাখা যেতে পারে যেহেতু সিগন্যাল বাতিল করা হয়নি, এবং এখনও পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থেমে গিয়েছে। অস্থিরতার মাত্রা নিয়ে বর্তমানে কোন সমস্যা নেই, তাই ট্রেডাররা অন্তত প্রতিদিনই ট্রেড ওপেন করতে পারে, যাতে ক্ষুদ্র মুভমেন্টগুলোকে শুধুমাত্র দেখার পরিবর্তে কাজে লাগানো যায়। উল্লেখ্য এই পেয়ারের মূল্যের ক্ষুদ্র মুভমেন্টগুলোকে "খিঁচুনি" হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। মার্কিন ডলারের মূল্যের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৃদ্ধি শুরু করেছে, কিন্তু এই পেয়ারের দুই দিনের দরপতন একটি পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের নিশ্চয়তা দেয় না যেমনটি আমরা আশা করছি। তাই, বিক্রি করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, বিশেষ করে যখন সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে, এক্ষেত্রে 1.3272 এর লেভেলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে গতকাল দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, আপনি নিম্নোক্ত লেভেলগুলোতে ট্রেড করতে পারেন: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440, 1.3488, 1.3537। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সূচকের দ্বিতীয় অনুমানে প্রকাশ করা হবে। এগুলো গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ প্রতিবেদন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইএসএম সূচকের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।