সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বুধবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান আকর্ষণীয় প্রতিবেদন হলো যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন, যা আর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনটির ফলাফল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আসন্ন বৈঠকের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে। মনে করিয়ে দেওয়া যাক যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মূল সুদের হার কমানোর ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, কারণ ব্যাংকটির কমর্কর্তারা আশা করছিল বছরের দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্বেগ সত্যি না হয়, তবে আসন্ন বৈঠকে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমানো হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, উল্লেখ্য যে পাউন্ডের ট্রেডাররা গত দুই বছর ধরে পাউন্ডের জন্য নেতিবাচক মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ উপেক্ষা করেছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বুধবারের উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণ রয়েছে। তবে, আগামীকাল ইসিবির বৈঠকে মূল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে, যার পরেই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানের আরও একটি বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তাই লাগার্ড সম্ভবত আগামীকাল গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দেবেন, যা ইউরোর উপর স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে।
উপসংহার:
সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, অন্যদিকে পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে। আজ, এক সপ্তাহ ধরে চলমান ফ্ল্যাট মুভমেন্টের পর আবার পাউন্ডের দরপতন হতে পারে অথবা এটির মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের সূচনা নির্দেশ করবে। তবে, আমরা আশা করছি যে মধ্যমেয়াদে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।