প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ২১ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2024-11-21T08:23:32

২১ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২১ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবার হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং চলমান ছিল, যেমনটি উপরের চার্টে দেখা যাচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন করার এবং উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি প্রদর্শন করার চমৎকার সুযোগ ছিল, তবে ট্রেডাররা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়েও শক্তিশালী ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এখন প্রায় নিশ্চিতভাবেই তাদের আর্থিক নীতিমালা দ্রুত নমনীয় করা থেকে বিরত থাকবে—বিশেষ করে 2024 সালের শেষ এবং 2025 সালের শুরুতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতে। তবে, যখন মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে পাউন্ড কেনার জন্য কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না, তখন এটির মূল্য কীভাবে বাড়বে?

এই পরিস্থিতি আমাদের অবাক করছে না, কারণ পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য প্রায় দুই বছর ধরে বেড়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট যৌক্তিকতা ছাড়াই। এই দুই বছরে মার্কেটের ট্রেডাররা কেবল একটি বিষয় মূল্যায়ন করেছে এবং সেটি হচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণ সংক্রান্ত প্রত্যাশা। এখন, যখন ফেড এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করেছে, তখন মার্কেটে মার্কিন ডলার বিক্রি করার মতো নতুন কোনো কারণ নেই।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২১ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দুটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল যা খুব একটা সঠিক হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই পেয়ারের মূল্য 1.2680–1.2685 এর রেঞ্জ অতিক্রম করেছিল, এবং ট্রেডাররা পাউন্ডের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারত। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তারা পুনরায় পাউন্ড বিক্রি করা শুরু করে। ফলস্বরূপ, দরপতন শুরু হয়েছিল, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় এবং দরপতন খুব একটা শক্তিশালী ছিল না।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরিভাবে সমর্থন করি, কারণ আমাদের মতে এটিই একমাত্র যৌক্তিক পরিস্থিতি। স্বল্পমেয়াদে, পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি কারেকশনের চেষ্টা করা হতে পারে, তবে এটি কার্যকর হতে হলে মৌলিক পটভূমি থেকে পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রয়োজন। গত বৃহস্পতিবার, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য থেকে এটি কোনো সমর্থন পায়নি, এবং শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনও পাউন্ডকে তেমন কোন সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে

বৃহস্পতিবার নতুন ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট পুনরায় হওয়ার শুরু আশা করতে পারে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2754, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শেষ হওয়ার বা উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার আশা করা উচিত হবে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...