ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে 1.2788–1.2801 রেজিস্ট্যান্স জোনের দিকে অগ্রসর হয়, সেখানে বাধাগ্রস্ত হয়ে মূল্য বিপরীতমুখী হয়ে 1.2709–1.2734 এর সাপোর্ট জোনে ফিরে আসে। এই সাপোর্ট জোনের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হলে 1.2611–1.2620 এরিয়ার দিকে আরও দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে এবং এটি বুলিশ প্রবণতার সমাপ্তির সংকেত দেবে। যদি মূল্য 1.2709–1.2734 জোন থেকে রিবাউন্ড করে, তবে বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে এবং মূল্যের 1.2788–1.2801 লেভেলে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে।
ওয়েভ স্ট্রাকচার বিশ্লেষণে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ পূর্ববর্তী ওয়েভের সর্বোচ্চ শিখর ব্রেক করেছে, যখন শেষ সম্পন্ন হওয়া নিম্নমুখী ওয়েভটি পূর্ববর্তী নিম্ন লেভেল অতিক্রম করেনি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাব্য সমাপ্তি এবং বুলিশ প্রবণতার শুরু নির্দেশ করে। তবে, বুলিশ প্রবণতাটি তুলনামূলকভাবে দুর্বল থাকতে পারে। গত সপ্তাহে সামষ্টিক অর্থনৈতিক দিক থকে মিশ্র পটভূমি থাকা সত্ত্বেও এই পেয়ারের ক্রেতারা আত্মবিশ্বাসীভাবে এই পেয়ার ক্রয় করেছে।
শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত নন ফার্ম পেরোল এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন মার্কিন ডলারের মূল্যের কোনো স্পষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেনি। তবে মজুরি বৃদ্ধি এবং ভোক্তা আস্থা সূচকের ফলাফল মার্কিন ডলারের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ভিত্তিতে মজুরি 4% বৃদ্ধি পেয়ে পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে, যা ভোক্তা মূল্য সূচকের আরও পতন রোধ করতে পারে। এটি নভেম্বরে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়িয়েছে এবং ডিসেম্বরের FOMC-এর বৈঠকে আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের সম্ভাবনাকে হ্রাস করেছে, যা ডলারের জন্য ইতিবাচক খবর।
সেইসাথে, ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে প্রকাশিত ভোক্তা আস্থা সূচক 71.8 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 74.0-এ পৌঁছেছে, যা ট্রেডারদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে, বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের তুলনায় নন ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল ট্রেডারদের মনোযোগ বেশি আকর্ষণ করেছে। ট্রেডাররা এখন আসন্ন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনটির দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, যা ফেডের বৈঠকের আগে প্রত্যাশা স্পষ্ট করতে পারে। যদিও মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মার্কিন সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করছে, তবে যেকোন চমক আসতে পারে।
4-ঘণ্টার চার্টে, পেয়ারের মূল্য 61.8% রিট্রেসমেন্ট লেভেল 1.2728 এ ফিরে এসে এই লেভেলের উপরে কনসলিডেশন করেছে। এটি পরবর্তী 50.0% রিট্রেসমেন্ট লেভেল, বা 1.2861 লেভেলের দিকে এই পেয়ারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে।
বিপরীতভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2728 লেভেলের নিচে দৃঢ়ভাবে অবস্থান গ্রহণ করলে, সেটি 4-ঘণ্টার চার্টে সুস্পষ্ট বিয়ারিশ প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত দিতে পারে।
কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট
গত প্রতিবেদন সপ্তাহে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের মধ্যে বুলিশ সেন্টিমেন্ট কমেছে। এই পেয়ারের লং পজিশন 403 কমেছে, যখন শর্ট পজিশন 1,905 বেড়েছে। যদিও ক্রেতারা এখনও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে, তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই সুবিধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। বর্তমানে লং এবং শর্ট পজিশনের মধ্যে ব্যবধান মাত্র 19,000 পজিশনে নেমে এসেছে (98,000 বনাম 79,000)।
গত তিন মাসে, লং পজিশনের সংখ্যা 160,000 থেকে 98,000-এ নেমে এসেছে, এবং শর্ট পজিশনের সংখ্যা 52,000 থেকে 79,000-এ বেড়েছে। এটি নির্দেশ করে যে প্রফেশনাল ট্রেডাররা হয় তাদের লং পজিশন আরও কমাতে পারে অথবা শর্ট পজিশন বৃদ্ধি করতে পারে, কারণ ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে এমন সম্ভাব্য সকল বুলিশ উপাদান ইতোমধ্যে মার্কেটে কাজে লাগানো হয়েছে। গ্রাফিক্যাল বিশ্লেষণও পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা নির্দেশ করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার
সোমবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য কোনও ইভেন্ট নেই, যার মানে আজ সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
GBP/USD এর পূর্বাভাস এবং ট্রেডিং পরামর্শ:
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে মূল্য 1.2788–1.2801 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করার পরে মূল্য 1.2709–1.2734 এ যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রায় এই পেয়ার বিক্রয় করা সম্ভব ছিল। শুক্রবারে এই পেয়ারের মূল্য এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।
যদি মূল্য 1.2709–1.2734 লেভেলের নিচে থাকা অবস্থায় আজ এই পেয়ারের ট্রেডিং শেষ হয় তাহলে নতুন করে এই পেয়ার বিক্রয় করার সুযোগ তৈরি হতে পারে, যেখানে পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2611–1.2620 এর লেভেল। বর্তমান বুলিশ প্রবণতার সমাপ্তির স্পষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত, আমি এখনই এই পেয়ার ক্রয়ের বিষয়টি বিবেচনা করব না।
ফিবোনাচ্চি লেভেলগুলো ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে 1.3000–1.3432 এবং 4-ঘণ্টার চার্টে 1.2299–1.3432 থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে।