ব্রিটিশ পাউন্ড ট্রেডের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ
দিনের প্রথমার্ধে আমার উল্লিখিত লেভেলগুলোর কোন টেস্ট হয়নি, কারণ গতকাল এই পেয়ারের ব্যাপক বিক্রির পরে উল্লেখযোগ্যভাবে কম মাত্রার ভোলাটিলিটি পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য কোর পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচারস (PCE) ইনডেক্স বিশ্লেষক এবং বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। এই সূচকের বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সংকেত দিতে পারে, যা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করবে তবে ফেডারেল রিজার্ভকে উচ্চ সুদের হার বজায় রাখতে বাধ্য করবে।
তাছাড়া, মার্কিন ভোক্তা ব্যয় এবং আয়ের স্তরের পরিবর্তনের সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল ট্রেডারদের পাউন্ড বিক্রির জন্য ট্রেডারদের উৎসাহিত করতে পারে। দিনের শেষে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2556-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2519-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি GBP/USD পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 1.2556-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। আজ মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2493-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2519 এবং 1.2556-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2493-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচে নেমে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রির পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতন ঘটাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে 1.2453-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। শুধুমাত্র মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে মার্কেটে বিক্রেতারা সক্রিয় হবে৷ গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2519-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2493 এবং 1.2453-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত।
- সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন।
- স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
- সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
