সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
সোমবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইউরোজোনের পিএমআই (পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স) সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই সূচকগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তবে ইউরোপীয় এবং ব্রিটিশ প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রত্যাশা করা বেশ কঠিন। গত সপ্তাহে, ইউরো এবং পাউন্ড সৌভাগ্যবান ছিল যে ে আরও বেশি দরপতনের সম্মুখীন হয়নি। ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে। জানুয়ারিতে জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে, এবং যদি ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি সূচকে একই ধরনের পতনের ইঙ্গিত দেয়, তাহলে এটি মার্কেটে ইউরো বিক্রির আরও কারণ প্রদান করতে পারে। অবশেষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রকাশিত হবে, যা সাধারণ PMI সূচকের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি পূর্ববর্তী ফলাফলের তুলনায় বৃদ্ধি নির্দেশ করতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
সোমবার, একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি রাফায়েল বোস্টিকের বক্তব্য রয়েছে। তবে, যেহেতু ফেডের বৈঠক ইতোমধ্যে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জেরোম পাওয়েল প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান করেছেন, তাই FOMC-এর (ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি) সদস্যদের মধ্যে কেউই পাওয়েলের দৃষ্টিভঙ্গির থেকে ভিন্ন কিছু বলার সম্ভাবনা নেই। যেকোনো পরিস্থিতিতেই স্বল্প-মেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও দৈনিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো সম্পূর্ণ হয়নি, তবুও ডলার কিছুটা শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপসংহার:
সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, আমরা মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। EUR/USD এবং GBP/USD উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বর্তমানে সাইডওয়েহ মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে, যা মার্কেটে শক্তিশালী ট্রেডিং কার্যক্রমের অভাব নির্দেশ করে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও ট্রেডিংয়ের প্রতি খুব বেশি আগ্রহ না থাকলে, মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রকৃতভাবে প্রভাবিত করতে পারে এমন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচক।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।