ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2430 লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। ফলে, আমি ব্রিটিশ পাউন্ড কেনার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকি, কারণ আমি মার্কেটে অন্য কোনো কার্যকর এন্ট্রি পয়েন্ট চিহ্নিত করতে পারিনি।
নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক আরোপ বিশ্ববাজারের একটি অপ্রত্যাশিত ধাক্কা ছিল, যেখানে বাজারে ইতোমধ্যেই চাপ বিরাজ করছিল। যদিও অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীরা সরাসরি এই শুল্কের দ্বারা প্রভাবিত হয়নি, তবে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ব্যাপকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ বিক্রি শুরু করে, যার মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ডও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
যদি যুক্তরাজ্যের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE) বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মুদ্রানীতিকে আরও ডোভিশ বা নমনীয় করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাড়তি অনিশ্চয়তা ব্রিটিশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্যও ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, যা ভোক্তা চাহিদা এবং বিনিয়োগের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এখন মার্কেটের ট্রেডাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো এই নতুন শুল্কের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আজ, যুক্তরাজ্যের ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, এই পরিসংখ্যানের ফলাফল ইতিবাচক হলেও, এর ফলে ব্রিটিশ পাউন্ডের চাহিদার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। যদিও PMI উৎপাদন খাতের পরিস্থিতি প্রতিফলিত করে এবং কিছু ইতিবাচক প্রবণতা দেখাতে পারে, বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এটি পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। বিশ্ব এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এখনও এই মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
এই প্রতিকূল পরিস্থিতির পেছনে কয়েকটি কারণ কাজ করছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, অস্থির সরবরাহ শৃঙ্খলা, এবং অন্যান্য দেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা। এই প্রেক্ষাপটে, এমনকি PMI সূচকের ফলাফল ইতিবাচক আসলেও বিনিয়োগকারীরা তা সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করতে পারে, বিশেষত যদি অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচকগুলো এই প্রবণতাকে সমর্থন না করে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2355-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2313-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2355-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। স্বল্পমেয়াদে পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2270-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2313 এবং 1.2355-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2270-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2210-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। নতুন করে নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হতে থাকায় পাউন্ডের মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2313-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2270 এবং 1.2210-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ:
- মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত।
- সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন।
- স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
- সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।