সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, আজ উভয় পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমাত্রার অস্থিরতা এবং "একঘেয়ে সোমবার" দেখা যেতে পারে—যেমনটি আমরা মার্কেটে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করিনি। আমাদের বিশ্বাস, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।
দৈনিক টাইমফ্রেমে, এই কারেকশন এখনো দুর্বল মনে হচ্ছে। ফলে, পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য মাঝারি মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে এটি শক্তিশালী বা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
সোমবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হলো ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ। তবে, সম্প্রতি ইসিবির সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার ফলে লাগার্দের পক্ষ থেকে ট্রেডারদের চমকে দেওয়ার মতো নতুন কোনো তথ্য আসার সম্ভাবনা নেই। ইসিবি কর্মকর্তাদের নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন করতে হলে নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রয়োজন হবে, যা সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যমান অর্থনৈতিক প্রবণতা এবং ইসিবির নীতিগত অবস্থান ইতোমধ্যে স্পষ্ট।
উপসংহার:
সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, মার্কেটে অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে এটি দুর্বল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। শুক্রবার, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলার কেনার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেছিল। বৈশ্বিক পর্যায়ে এবং মাঝারি-মেয়াদেও বিয়ারিশ প্রবণতা বিরাজ করায়, মার্কেটে সম্ভবত এখনো কারেকশন হচ্ছে, যেখানে ট্রেডাররা শর্ট পজিশন জমা করছে। আমরা মার্কিন ডলারের মূল্যের আরেকটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি, তবে এটি শুরু হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।