সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বুধবার অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত থাকলেও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জানুয়ারি মাসের যুক্তরাজ্যের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)। ট্রেডাররা আশা করছেন যে বার্ষিক ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার 2.8% এ বৃদ্ধি পাবে, এবং কোর ইনফ্লেশন 3.7% এ পৌঁছাতে পারে। সম্ভবত এই প্রত্যাশার ফলস্বরূপ ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। যদি প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়, তাহলে আজ থেকেই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিল্ডিং পারমিট এবং নতুন আবাসন নির্মাণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; তবে এগুলো গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বুধবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হচ্ছে FOMC-এর বৈঠকের কার্যবিবরণীর প্রকাশনা। তবে, আমরা প্রায়ই উল্লেখ করে থাকি যে এটি মূলত আনুষ্ঠানিক একটি ইভেন্ট, যা সাধারণত বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করলেও নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে না। কার্যবিবরণীতে সাধারণত কোনো তাৎপর্যপূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উঠে আসে না, বিশেষ করে যখন সর্বশেষ বৈঠকে আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটি কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই, সন্ধ্যায় ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে কোনো অপ্রত্যাশিত তথ্য আসার সম্ভাবনা কম। সামগ্রিকভাবে, 2025 সালের জন্য ফেডের অবস্থান এখনো হকিশ বা কঠোর রয়েছে, যার ফলে ইউরো এবং পাউন্ডের তুলনায় মার্কিন ডলার অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
উপসংহার:
সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফয়াফল বাজার পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে, যা প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কেমন আসে তার উপর নির্ভর করবে। এর ফলে, সারাদিন জুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতির কোনো বড় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম। EUR/USD এবং GBP/USD উভয় পেয়ারের মূল্যই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দিকে ঝুঁকছে, তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে কারেকশন হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।