সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
সোমবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে, মার্কেটের ট্রেডাররা মূলত মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল উপেক্ষা করেছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও মার্কেটের ট্রেডাররা তাতে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। বরং তার পরদিনই, তেমন কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া সত্ত্বেও, পাউন্ডের মূল্য ১০০ পিপস বৃদ্ধি পেয়েছিল।
সোমবার, ইউরোজোনে জানুয়ারির মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে এবং জার্মানিতে IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। সাধারণত, মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রথম অনুমানের সঙ্গে মিলে যায়, তাই মার্কেটে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। IFO ইনডেক্সকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা মার্কেট সেন্টিমেন্টের উপর খুব সামান্য প্রভাব ফেলে থাকে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
সোমবারের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE)-এর প্রতিনিধিদের বক্তব্য নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে লম্বার্ডেলি, বাল্জ, রামসডেন এবং ধিংগ্রা বক্তব্য দেবে। তবে, আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে মুদ্রানীতি সম্পর্কে কোনো জরুরি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে না। তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হারের বিষয়ে তাদের অবস্থান সামান্য পরিবর্তন করতে পারে। তবে, এই পর্যায়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার:
নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, মার্কেটে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বিরাজ করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মৌলিক কারণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট দুর্বল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, এবং ইউরোর মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, আমাদের ধারণা এই স্থানীয় প্রবণতাগুলো খুব শীঘ্রই শেষ হবে, বিশেষ করে ইউরোর ক্ষেত্রে, কারণ ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার জন্য কোন শক্তিশালী কারণ নেই।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।