সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
সোমবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর মধ্যে কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো জার্মানির শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন, তবে এটি মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করবে বলে মনে হচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডাররা সম্পূর্ণভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্য এবং তার গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে, ফলে অন্যান্য ঘটনাগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকা না থাকলে, এই সপ্তাহে ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলার 460 পিপস পর্যন্ত দরপতনের সম্মুখীন হতো না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
যদিও সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে এর মানে এই নয় যে আজ স্থিতিশীল ও নিরুত্তাপ ট্রেডিং দেখা যাবে। ট্রাম্প সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শুক্রবার, তিনি কানাডাকে ১৯০৮ সালে প্রণীত সীমান্ত চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে মার্কিন-জাপান বাণিজ্য চুক্তি শুধুমাত্র জাপানের জন্যই বেশি সুবিধাজনক। সম্ভাবনা রয়েছে যে তিনি আরও বিভিন্ন দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন, যা মার্কিন ডলারের আরও বিক্রির দিকে পরিচালিত করতে পারে।
উপসংহার:
সপ্তাহের শুরুতে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে ট্রেডাররা আবেগ দ্বারা চালিত হচ্ছে, যেখানে ট্রাম্পের বিভিন্ন বক্তব্য ও পদক্ষেপ এই আবেগের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। মার্কেটে মার্কিন ডলার বিক্রির প্রতি কেন্দ্রীভূত মনোযোগ থাকায়, শুধুমাত্র এই কারণেই ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।