সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে বর্তমানে অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মতোই এটিও তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ট্রেড করছে এবং অন্যান্য বিষয়গুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করছে। এমনকি যদি মার্কিন মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়—যা 2025 সালে ফেডারেল রিজার্ভের আরও কঠোর আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের ইঙ্গিত দিতে পারে—তবুও এর প্রভাবে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। ডলারের দর হয়তো 50-60 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে আরেকবার ডলার বিক্রির প্রবণতার মধ্যে এই বৃদ্ধি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ে যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বুধবারের গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রয়েছে, যেখানে ক্রিস্টিন লাগার্ডে, ফিলিপ লেন এবং জোয়াকিম নাগেলের বক্তৃতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মূলত ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও ঘোষণার দিকেই নজর দিচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিরতিহীনভাবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার, তিনি কানাডাকে ১৯০৮ সালে প্রণীত সীমান্ত চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে মার্কিন-জাপান বাণিজ্য চুক্তি প্রধানত জাপানের জন্য লাভজনক। মঙ্গলবার, তিনি কানাডার স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ, সকল দেশের স্টিল ও অন্যান্য আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসতে পারে।
উপসংহার:
এই সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই ওঠানামা করতে পারে, কারণ বর্তমান মার্কেট মূলত আবেগ দ্বারা চালিত হচ্ছে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যক্রম দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আরও চাপের মধ্যে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি মার্কিন মূল্যস্ফীতি কমে যায়, তাহলে এটি ডলার বিক্রির আরও একটি কারণ হিসেবে কাজ করবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।