সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
সোমবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তবে, গত দুই সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি বেশ কম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর পরিবর্তে, তারা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত তথ্য এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক এমন যেকোনো বৈশ্বিক সংবাদের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এই সপ্তাহে, মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্য দরপতন এড়াতে সক্ষম হয়েছে, তবে এটি এখনো পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। মনে হচ্ছে, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের নতুন শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার (যেমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর শুল্ক আরোপ) জন্য অপেক্ষা করছে, যা ডলারের আরও বিক্রির প্রবণতার অনুঘটক হতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
সোমবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা। তবে, লাগার্ড প্রায়শই বক্তৃতা দিয়ে থাকেন, তাই মার্কেটে নতুন কোন তথ্য আসার সম্ভাবনা নেই। ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থান ইতোমধ্যেই স্পষ্ট: মূল সুদের হার আরও কমানো হতে পারে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি এখন আর উদ্বেগের কারণ নয় এবং গত ২.৫ বছরে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত দুর্বল ছিল। তাই, ইসিবির প্রেসিডেন্ট সোমবার নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম।
উপসংহার:
সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগের সাথে ট্রেডিং করা হচ্ছে, যার প্রধান অনুঘটক ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি ট্রাম্পের পদক্ষেপের ব্যাপারে নতুন কোনো তথ্য না আসে, তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই হয় হালকা কারেকশন দেখা যেতে পারে অথবা সাইডওয়েজ মুভমেন্ট বজায় থাকতে পারে। এখনো পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।