সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
সোমবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। গত সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহের পর আমরা মনে করি, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল কোনো কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের ওপরই তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবুও, আজ ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় এবং জার্মানির শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে এই পরিসংখ্যানগুলোর উপর কে নজর রাখছে? পুরো বিশ্ব এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতিমালার উপর সজাগ দৃষ্টি দিচ্ছে। এবং এটাও বলা যাবে না যে সবচেয়ে নেতিবাচক সময় ইতোমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে। অনেক দেশ বিতর্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে চাইলেও, বড় বড় দেশগুলো পাল্টা শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই $28 বিলিয়ন মূল্যের পণ্যের নতুন একটি তালিকা প্রস্তুত করছে, যেগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
এই মুহূর্তে ট্রাম্পের বাণিজ্যিক শুল্ক ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা করার কোনো মানে নেই। শুক্রবারের রিবাউন্ড সত্ত্বেও ডলারের দরপতন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাল্টা শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেব। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তার "অবিচার দূরীকরণের" পদক্ষেপের বিপরীতে যেকোনো প্রতিক্রিয়াকে কঠোরভাবে নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে। তাই যদি কেউ ধরে নেন বুধবার আরোপিত শুল্কগুলোই চূড়ান্ত এবং এগুলোর হারই স্থায়ী—তবে তারা বড় ভুল করছেন। এখন শুল্ক আরোপিত দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ ও জটিল আলোচনা শুরু হবে। শীর্ষ বৈশ্বিক শক্তিগুলো পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। এসবের শেষ কোথায়? তা কেউ জানে না।
উপসংহার:
নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কেটে এখনো আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা খোঁজা বৃথা। এই পরিস্থিতিতে স্পষ্ট কোনো প্রবণতার ওপর নির্ভর না করে শুধুমাত্র ৫ মিনিট টাইমফ্রেমের লেভেলগুলোর ভিত্তিতে ট্রেড করা উচিত।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটবর্তী লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।