সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে মার্কেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব প্রায় নেই বললেই চলে। এই মুহূর্তে মার্কেটে প্রচলিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কোনো কার্যকারিতা নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন পুরোপুরিভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনায় ডুবে আছে—এবং প্রতিদিনই এই বিষয়টি আরও গতি পাচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বর্তমানে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করাই অর্থহীন। গত শুক্রবার মার্কিন ডলারের মূল্য কিছুটা বেড়েছিল ঠিকই, তবে এই প্রবণতা দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব, তারা যেন কেবলমাত্র বৃহত্তম দেশ ও জোটগুলোর নেতৃবৃন্দের পাল্টা শুল্ক সংক্রান্ত বিবৃতির দিকেই নজর রাখেন। ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা "অন্যায় দূর করার" জন্য, তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিক্রিয়া জানালে তার জবাবে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করা হবে।
যদি কেউ মনে করে থাকেন গত বুধবার ঘোষিত শুল্কই চূড়ান্ত, এবং শুল্কহার নির্ধারিত হয়ে গেছে—তাহলে তারা বড় রকমের ভুল করছেন। এখন একটি দীর্ঘ এবং জটিল আলোচনা পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে, যেখানে সব "শুল্কপ্রাপ্ত" দেশগুলো যুক্ত থাকবে। বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর পক্ষ থেকেও পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এর শেষ কোথায় গিয়ে হবে তা কেউ জানে না। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি চীনের ওপর অতিরিক্ত 50% শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অপরদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর 25% হারে শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে। এবং এটিই যে শেষ অধ্যায়, এমনটা বলার কোনো উপায় নেই।
উপসংহার:
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কেটে এখনো আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, ফলে মূল্যের মুভমেন্টে কোনো ধরনের যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে। শুধুমাত্র 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে নির্ধারিত লেভেল অনুসরণ করে ট্রেডিং করা সম্ভব—কোনো নির্দিষ্ট প্রবণতার ওপর ভিত্তি করে নয়। তবে মনে রাখতে হবে, এই ধরনের মুভমেন্ট খুবই তীব্র ও বিপজ্জনক হয়ে থাকে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটবর্তী লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।