সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বুধবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রচলিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের দিকে খুব একটা মনোযোগ দিচ্ছে না, তাই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এখন প্রাসঙ্গিক নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে—যেটির গতিপ্রবাহ প্রতিদিন আরও তীব্র হচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বর্তমানে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করা অপ্রয়োজনীয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মূল্যের কিছু স্বল্পমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গেলেও, অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব—তারা যেন শুধুমাত্র বৃহত্তম দেশ ও অর্থনৈতিক জোটের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাল্টা শুল্ক সংক্রান্ত বিবৃতি খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। ট্রাম্প আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তার কথিত "অন্যায় দূরীকরণ"মূলক পদক্ষেপের জবাবে কেউ প্রতিক্রিয়া জানালে, যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও নতুন করে শুল্ক আরোপ করবে।
গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর 25% পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে—যার জবাবে ট্রাম্প নিশ্চয়ই কোনো না কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবেন। এর ফলে মার্কিন ডলার এবং মার্কিন অর্থনীতি—উভয়ই আরও গভীর সংকটে পর্যবসিত হতে পারে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করে যাচ্ছেন—ডজন খানেক বিদেশি নেতা বাণিজ্য চুক্তি সই করার জন্য ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটনের পথে রয়েছেন।
উপসংহার:
এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে সবচেয়ে সম্ভাব্য দৃশ্যপট হলো মার্কিন ডলারের ধারাবাহিক দরপতন। মার্কেটে এখনও আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, তাই মূল্যের মুভমেন্টে কোনো যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।