সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবার খুব কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনই ট্রেডারদের জন্য এখনও কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি খুব একটা প্রভাব ফেলছে না, কারণ প্রায় সবাই আশা করছে 2025 সালে এটি দ্রুত বাড়বে। অতএব, আজ যদি মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেও, তাও ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আবার বাড়ানোর জন্য এখন সুদের হার কমাবে—এমন সম্ভাবনা খুবই কম। সারাদিনে আর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
এখনো ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করার তেমন কোনো অর্থ নেই। গত সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের পরও ডলারের দরপতন অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে তারা যেন কেবলমাত্র বৃহত্তম দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বিবৃতির দিকেই মনোযোগ দেন। ট্রাম্প ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, "অন্যায় দূর করার" লক্ষ্যে নেওয়া তার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিক্রিয়া জানালে, তার জবাবে নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করা হবে।
একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীন ব্যতীত সকল দেশের জন্য ৯০ দিনের জন্য শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর 10% হারে নির্ধারিত শুল্ক প্রযোজ্য হবে। ট্রাম্পের মতে, এই সময়টি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নির্ধারিত। তবে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা এখনও অত্যন্ত কম।
উপসংহার:
এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কেটে এখনো আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, ফলে মূল্যের মুভমেন্টে কোনো স্পষ্ট যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না। কয়েক ঘণ্টা পরপরই বাণিজ্যযুদ্ধ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, এবং আজ প্রকাশিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনও মার্কেটের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।