USD/CHF পেয়ার আজ নতুন করে বিক্রেতাদের আকর্ষণ করছে এবং বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দরপতনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে পরিচালিত হচ্ছে।
দুর্বল মার্কিন ডলার:
মার্কিন ডলার সূচক, যা প্রধান কারেন্সির বিপরীতে ডলারের পারফরম্যান্স নির্দেশ করে, বর্তমানে এপ্রিল 2022 সালের পর দেখা সর্বনিম্ন লেভেলে ট্রেড করছে—যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতির প্রতিফলন ঘটায়। ফেডারেল রিজার্ভ 2025 সালে 100 বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমাতে পারে—এই প্রত্যাশা ডলারের আকর্ষণ আরও হ্রাস করছে।
ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের আজকের বক্তব্য থেকে ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির দিকনির্দেশনা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য নীতিমালা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা:
পারস্পরিক শুল্ক আরোপ সাময়িকভাবে স্থগিত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা এখনো মার্কেটে চাপ সৃষ্টি করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান বারবার পরিবর্তনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সুইস ফ্রাঙ্ক নিরাপদ সম্পদ হিসেবে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
এই মৌলিক প্রেক্ষাপট ইঙ্গিত দিচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের মূল্যের সবচেয়ে সম্ভাব্য দিক হচ্ছে নিম্নমুখী, যা গত তিন মাস ধরে চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার ধারাবাহিকতা সমর্থন করছে।
টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ:
দৈনিক চার্টে অসিলেটরগুলো এখন ওভারসোল্ড জোনে রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে নিম্নমুখী প্রবণতা আবার শুরু হওয়ার আগে কিছুটা কনসোলিডেশন বা কারেকশনের প্রয়োজন হতে পারে। একটি টেকনিক্যাল রিবাউন্ড পেয়ারটির মূল্যকে 0.8270 রেজিস্ট্যান্সের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই লেভেল ব্রেক করলে শর্ট কাভারিং র্যালি শুরু হতে পারে, যার ফলে পেয়ারটির মূল্য 0.8400 এর সাইকোলজিক্যাল রেজিস্ট্যান্সের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আরও অনুকূল ট্রেডিংয়ের সুযোগের জন্য মার্কিন সেশনে ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য পর্যন্ত অপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে, কারণ সেখান থেকে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা নিয়ে স্পষ্টতা আসতে পারে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনও ডলার এবং USD/CHF পেয়ারের উপর প্রভাব ফেলবে। যদি প্রতিবেদনটির ফলাফল শক্তিশালী হয়, তবে ডলারের দর বাড়তে পারে; আর যদি ফলাফল দুর্বল হয়, তবে ডলারের দরপতন আরও ত্বরান্বিত হতে পারে।