প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ২৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-04-28T04:57:50

২৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। ইউরোর মতোই, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও বেশ ছোট একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়ে গেছে। তবে, ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের এখনো সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। পাউন্ডের মূল্য ডলারের বিপরীতে চমৎকার স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে এবং খুব কমই মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে দরপতনের শিকার হয়েছে। গত সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়জুড়ে আমরা এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট ট্রেডিং দেখেতে পেয়েছি। ট্রাম্প এক সপ্তাহ ধরে নতুন করে শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরত ছিলেন, এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বা টেকসই পণ্যের অর্ডারের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কেটে তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। তাই, পরবর্তী মুভমেন্ট তখনই প্রত্যাশিত হতে পারে, যখন ট্রাম্প মার্কেটে নতুন কোনো বোমা ফেলবেন। সম্প্রতি, ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান নমনীয় করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক চমৎকার হবে এবং অবশ্যই একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হবে। তবে, একই সাথে চীন জানিয়েছে যে তারা ট্রাম্পের সাথে কোনো আলোচনায় এখনও যোগ দেয়নি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, প্রথমে মূল্য 1.3289–1.3297 এর নিচে কনসোলিডেট করেছে, পরে এর ওপরে উঠেছে এবং পরে উপরের দিক থেকে চারবার এই লেভেল থেকে বাউন্স করেছে। বাই সিগন্যালের পরে এই পেয়ারের মূল্যের সর্বাধিক মুভমেন্ট ছিল প্রায় 25 পিপস। তাই, শুক্রবার মুভমেন্টের ক্ষেত্রে লাভ করা কঠিন ছিল, তবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনাও কম ছিল।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবল ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে, তাই পাউন্ডের মূল্য স্থিরভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। তাই, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। ভবিষ্যতে হয়তো মার্কেটের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট পরিবর্তিত হতে পারে, তবে বর্তমানে এমন কোনো লক্ষণ নেই।

সোমবারে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও এই প্রবণতা দেখিয়েছে যে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ডলার কিনতে প্রস্তুত নয়। তাই, এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ বা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য উপযুক্ত লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। সোমবারে যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তাই, আজ প্রবণতাভিত্তিক শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করা উচিত হবে না। তবে, মনে রাখতে হবে যে ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে মার্কেটে মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারেন।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...