প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ২৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-04-29T06:09:56

২৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য 130 পিপস বৃদ্ধি পেয়েছে। "বিরক্তিকর সোমবার" এমনটাই ছিল, যখন কোনো সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য ছিল না। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বিনা কারণে এক সেন্টের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে — এটি গত কয়েক মাসে পরিলক্ষিত পাউন্ডের মূল্যের প্রবণতারই প্রতিফলন। পাউন্ডের মূল্য কোনো নির্দিষ্ট কারণে বাড়ছে না। এটি কেবল বাড়ছে কারণ ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আর মার্কিন ডলার একমাত্র একটি কারণেই দরপতনের শিকার হচ্ছে — ডোনাল্ড ট্রাম্প। একজন ব্যক্তি দীর্ঘ সময়ের জন্য মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে কিনা, তা নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকতে পারে। তবে, বাস্তবতা অনুযায়ী এটি সম্ভব।

ট্রেডাররা এখনো প্রায় সব সামষ্টিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করে চলেছে। ডলার এখনো শক্তিশালী হচ্ছে না, এমনকি মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি থাকলেও। কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলেও ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য আরও এক দফা বৃদ্ধি পেতে পারে। সামগ্রিকভাবে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য ইউরোর তুলনায় আরও শক্তিশালীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে বেশ কিছু কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যালও গঠিত হয়েছে। সকালে, মূল্য খুব নিখুঁতভাবে 1.3289–1.3297 এরিয়া থেকে বাউন্স করে এবং পরে, মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময়, 1.3365 লেভেল ব্রেক করে সন্ধ্যার মধ্যে 1.3421 লেভেলে পৌঁছে যায়। ফলে, নতুন ট্রেডাররা সকালে লং পজিশন ওপেন করে সন্ধ্যায় তা ক্লোজ করে প্রায় 90 পিপস লাভ করতে পেরেছে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকেই মনোনিবেশ করছে। এর ফলে, পাউন্ডের মূল্য স্থিতিশীলভাবে বাড়ছে। অতএব, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরিভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে — এবং অন্য কিছু এতে প্রভাব ফেলছে না। ভবিষ্যতে সংবাদ প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটের পরিস্থিতি একাধিকবার পরিবর্তিত হতে পারে, তবে আপাতত এর কোনো ইঙ্গিত নেই।

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য রিট্রেসমেন্ট হয়ে নিম্নমুখী হতে পারে। তবে, পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি অকারণ বৃদ্ধি দেখা গেলেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।

5-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর ভিত্তিতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যদিও মার্কেটে এই প্রতিবেদনের কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে না। গতকাল, কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্য 130 পিপস বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদি আজ JOLTS থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে দেখা যাক ডলার কতটা শক্তিশালী হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...