প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ৭ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-05-07T06:04:19

৭ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

৭ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং যেগুলো প্রকাশিত হবে সেগুলোর প্রভাবও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের উপর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরোর মূল্য এখনো সম্পূর্ণরূপে ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে—তবে সেটি তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত ও কম দৃশ্যমান। সারাদিনে একমাত্র ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন ট্রেডারদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ তৈরি করতে পারে, তবে সেটিও কেবল সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করবে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করা যায়? সর্বোচ্চ ২০–৩০ পিপসের মুভমেন্ট? এমনকি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রভাবেও মার্কেটে কোনো স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

৭ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া এখনো অন্য কোনো মৌলিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করাটা খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও আপাতত বাণিজ্য উত্তেজনা স্থগিত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লে ডলারের দরপতন হতে পারে, অপরদিকে শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয় বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু এটিকে এখনই 'বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন' বলা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা শুরু হয়নি, তাই নিকট ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলা ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

ট্রাম্প জানেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অদূর ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে নতুন করে আগ্রাসী পদক্ষেপ আসার সম্ভাবনা কম। গত বুধবার আমরা দেখেছি, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি কীভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। আজ সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে। তাত্ত্বিকভাবে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে কিছুটা "ডোভিশ" না নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, তবে আমাদের মতে ফেড এখনো মূলত মুদ্রাস্ফীতির দিকেই নজর রাখছে। তাই তাদের অবস্থানে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের আশা করা ঠিক হবে না। তবুও, যদি নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়, তাহলে তা ডলারের জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করবে।

উপসংহার:

সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইউরো এখনো সাইডওয়েজ ট্রেডিং করছে, যদিও 1.1275 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হওয়ার পর একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের এখনো কিছুটা বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও, কার্যত এখনো রেঞ্জ-ভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেবল সন্ধ্যার FOMC-এর বৈঠক থেকে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটিও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সমাপ্তির জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে হচ্ছে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...