প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ১৩ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-05-13T05:29:40

১৩ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৩ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, যদিও এটি বলা আরও সঠিক হবে যে মার্কিন ডলারের মূল্য প্রবলভাবে বেড়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কেটের প্রায় সব মুভমেন্টই ডলারকেন্দ্রিক হয়েছে। ডলারের দর বাড়ে বা কমে, আর অন্যান্য মুদ্রাগুলো যেন শুধু "ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্যনীতির নাটক"-এর দর্শকের ভূমিকায় থাকে।

তাই যদি আমরা বাণিজ্য আলোচনা, চুক্তি, শুল্ক হ্রাস ইত্যাদি সম্পর্কিত আরও খবর পেতে থাকি, তাহলে ডলারের মূল্য খুব দ্রুতই আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে—সেই অবস্থানে যা দুই মাস আগে দরপতনের আগে বজায় ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার আক্রমণাত্মক বাণিজ্য নীতির বাইরে ডলারের দরপতনের আর কী কারণ ছিল? কোনো কারণ ছিল না। মার্কিন অর্থনীতি এখনো শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে, যেমনটা পাওয়েল বলেছেন, এবং শ্রমবাজারেও কোনো গুরুতর সমস্যা নেই। এদিকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখনো নমনীয় মুদ্রানীতি বজায় রেখেছে, আর ফেডারেল রিজার্ভ এখনো হকিশ বা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে ডলারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা হ্রাস পাচ্ছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৩ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যেগুলোর কোনোটিই লোকসানের কারণ হয়নি। 1.3259 লেভেল ব্রেক হওয়ার পরই শর্ট পজিশন নেওয়া যেত। এরপর মূল্য 1.3203–1.3211 জোন ব্রেক করে নিচে যায় এবং দুইবার ওই জোনে ফিরে আসে। প্রতিবারই ওই জোন থেকে মূল্য রিবাউন্ড করে, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করে। যদিও 1.3102–1.3107 লেভেল পর্যন্ত মূল্য পৌঁছায়নি, তবে সারাদিন শেষে বেশ ভালই লাভ হয়েছে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য এখনো ট্রাম্প-সংক্রান্ত খবর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, যার মানে হচ্ছে এখন ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটছে এবং ডলারের মূল্য বাড়ছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তিও ডলারের জন্যই বেশি লাভজনক হয়েছে, কারণ ডলারই প্রতিটি শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার খবরে দরপতনের শিকার হচ্ছিল। এখন বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের যেকোনো খবর ডলারকে শক্তিশালী করবে।

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও কমে যেতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র-চীন পারস্পরিক বোঝাপড়ার খবর একটি বড় ও প্রভাবশালী অগ্রগতি। এই প্রভাব এক দিনের বেশি স্থায়ী হতে পারে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, এখন ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব ও মজুরি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রেও আরও গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমাদের মতে, যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল পাউন্ডের মূল্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না, তবে মার্কিন মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...