প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ১৪ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-05-14T06:20:53

১৪ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৪ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের উল্লেখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধি দেখা গেছে, যদিও এর পেছনে কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছিল না। সোমবার, ডলার নির্দিষ্ট কিছু মৌলিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে শক্তিশালী হয়েছিল, কিন্তু মঙ্গলবার তা কোনো কারণ ছাড়াই দুর্বল হয়ে পড়ে—শুধু এই কারণে যে এটি ডলার। বাস্তবতা অনুযায়ী, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন মুদ্রাকে সমর্থন করার জন্য সেটি যথেষ্ট নয়, যদিও আগে ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রত্যাশিত 2.4%-এর পরিবর্তে মূল্যস্ফীতি 2.3% হয়েছে, এবং সেটিই শেষ পর্যন্ত ডলারের দরপতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এখন ট্রেডাররা প্রত্যাশা করছে, ফেডারেল রিজার্ভ পুনরায় মুদ্রানীতির নমনীয়করণের পথে হাঁটবে, যদিও গত সপ্তাহে জেরোম পাওয়েল জানিয়েছিলেন যে ট্রাম্পের শুল্কনীতি অর্থনীতির উপর কী প্রভাব ফেলছে, তা অন্তত গ্রীষ্ম পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা উচিত। পাওয়েল আরও বলেন, 2025 সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে, তাই সুদের হার কমানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে—না হলে পরে আবার সুদের হার বাড়াতে হতে পারে। আমাদের মতেও পাওয়েলের মন্তব্য যথার্থ। তবে ট্রেডারদেরও নিজস্ব মতামত আছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৪ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। প্রথমে, পেয়ারটির মূল্য 1.3203–1.3211 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে, কিন্তু সেই সেল সিগন্যালটি ভুল ছিল। পরে, মূল্য ওই এরিয়া ব্রেক করে ওপরের দিকে চলে যায় এবং লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হয়। মার্কিন সেশনে মূল্য 1.3259 লেভেলও ব্রেক করে, এবং মূল্য আরও 40 পিপস বৃদ্ধি পায়। সারসংক্ষেপে, বৃহস্পতিবার ডলারের দরপতন যুক্তিযুক্ত হলেও এর আগেও মার্কেটের ট্রেডাররা একাধিকবার ডলারের জন্য ইতিবাচক মৌলিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করেছে।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনও মূলত ট্রাম্প সংক্রান্ত সংবাদের উপর নির্ভরশীল এবং তার নীতিমালা নিয়ে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে সংশয় রয়েই গেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, সেই সুবিধা ডলারের পক্ষেই গেছে, কারণ যেকোনো শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত খবরের প্রভাবে ডলার দরপতনের শিকার হয়েছে। তাত্ত্বিকভাবে এখন বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনের যেকোনো খবরে ডলারের পুনরুদ্ধার করা উচিত, কিন্তু এখনও মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন গ্রিনব্যাক ক্রয় করতে অনিচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে।

বুধবার, মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ভিত্তিতে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এবং পেয়ারটির মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য উপযুক্ত লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। বুধবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টগুলো সম্ভবত প্রবণতার প্রভাববিহীন এবং দুর্বল হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...