প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ১৬ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-05-16T07:06:13

১৬ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৬ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের খুবই সীমিত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গেছে; তবে ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে এটি মূলত একটি সাইডওয়েজ মুভমেন্ট ছিল। গতকাল যুক্তরাজ্যে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রত্যাশা অনুযায়ী এই পেয়ারের মূল্যের উপর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি—যেমনটি মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে। যুক্তরাজ্যের জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রান্তিক ভিত্তিতে প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক হলেও বার্ষিক ভিত্তিতে তা হ্রাস পেয়েছে। শিল্প উৎপাদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল এসেছে, যার ফলে এই দুই প্রতিবেদন থেকে সাংঘর্ষিক বার্তা পাওয়া গেছে। সামগ্রিকভাবে মার্কেটে দুটি বিষয় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। প্রথমত, ট্রেডাররা কেবল ট্রাম্পের বড় ধরনের সিদ্ধান্ত বা বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের অগ্রগতির দিকেই আগ্রহী। দ্বিতীয়ত, যেকোনো খবর বা ইভেন্টই থাকুক না কেন, ট্রেডাররা এখনো ডলার কেনার জন্য প্রস্তুত নয়। গত এক মাসে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ৭০০ পিপস বৃদ্ধির পরও উল্লেখযোগ্য কোনো কারেকশন দেখা যায়নি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৬ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3259 লেভেল থেকে তিনবার রিবাউন্ড করেছে, তবে প্রতিবারই খুবই সীমিত বিচ্যুতি ছিল।তিনবারের একবারও পাউন্ডের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.3329-এ পৌঁছাতে পারেনি। তবে কোনো সেল সিগন্যালও তৈরি হয়নি। ফলে, নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে পারলেও, সেখান থেকে লাভ করা বা লোকসানের সম্মুখীন হওয়া—উভয়ই খুব কঠিন ছিল।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য এখনো কেবল ট্রাম্প-সম্পর্কিত খবর দ্বারা প্রভাবিত হবে এবং ট্রেডাররা তার নীতির প্রতি ব্যাপকভাবে সংশয়পূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। মনে করিয়ে দিই, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, এর সুবিধা ডলারের জন্যই বেশি—কারণ শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত যেকোনো খবরের প্রভাবে অতীতে ডলারের মূল্য কমেছে। এখন বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনের যেকোনো খবরে ডলারের শক্তিশালী হওয়া উচিত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো মার্কিন মুদ্রার প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না।

শুক্রবার মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ভিত্তিতে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি অনুমান করা নিরাপদ যে, মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও ডলার বিক্রির যেকোনো সুযোগ খুঁজবে কিংবা কেবলমাত্র যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য অপেক্ষা করবে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598।

শুক্রবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, এবং যুক্তরাষ্ট্রে কেবলমাত্র স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমাদের মতে, এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে দৈনিক ভিত্তিতে প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই আজ আরেকবার ফ্ল্যাট (সাইডওয়েজ) ট্রেডিং দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...