প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ৩ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-06-03T06:01:31

৩ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৩ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবার GBP/USD পেয়ারেরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং করা হয়েছে। তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের সামগ্রিক টেকনিক্যাল চিত্র ইউরোর তুলনায় কিছুটা আলাদা। হ্যাঁ, পাউন্ডের মূল্যও ইউরোর মতোই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, এমনকি আরও জোরালোভাবে। তবে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে ইউরোর মূল্য পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করেছে, যেখানে পাউন্ড তা করেনি। এই পরিস্থিতি ব্রিটিশ মুদ্রার ওভারবট স্ট্যাটাসের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। মনে করিয়ে দিই, পূর্বে ব্রেক হওয়া অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন একটি সম্ভাব্য ট্রেন্ড রিভার্সালের সংকেত দিয়েছিল। অবশ্য, শক্তিশালী মৌলিক প্রেক্ষাপট থাকলে টেকনিক্যাল চিত্র প্রায়ই মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে—যা আমরা গত কয়েক মাস ধরেই নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

এছাড়া, এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ফলাফল এলে, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন মার্কিন ডলারের আরেকটি দরপতনের সূত্রপাত করতে পারে—কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখন মার্কিন গ্রীনব্যাকের ক্ষেত্রে যেকোনো নেতিবাচক তথ্যের ওপর অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তবে যদি মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল হতাশাজনক না হয় এবং ট্রাম্প বাণিজ্যযুদ্ধে এক সপ্তাহের বিরতি নেন, তাহলে ডলার আবার শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৩ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তবে সেগুলো খুব একটা আদর্শ ছিল না। দুর্ভাগ্যবশত, ইউরোর মতোই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের একদম শুরুতেই কোনো বাই সিগন্যাল ছিল না, এবং 1.3537 লেভেলের আশেপাশে কেবল ভুল সিগন্যাল গঠিত হয়। দিন শেষে আমরা এই লেভেলটিকে সংশোধন করে 1.3518 করেছি। তাই, আজ এই লেভেল থেকে রিবাউন্ড হলে এই পেয়ারের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখন পুরোপুরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকলাপের উপর নির্ভরশীল এবং ট্রেডারদের মধ্যে তার গৃহীত নীতিগুলোর প্রতি গভীর অনিশ্চয়তা বজায় রয়েছে। যদিও বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কিছুটা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তবে মার্কেটে এই আশাবাদ খুব একটা নেই—বরং বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়ছে এমন সম্ভাবনাই বেশি। গত সপ্তাহে ডলারের দর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে তা নিছকই একটি টেকনিক্যাল কারেকশন ছিল। সেই কারেকশন অব্যাহত রাখতে হলে বাণিজ্যযুদ্ধের ব্যাপারে ইতিবাচক খবরের প্রয়োজন—যা বর্তমানে নেই।

মঙ্গলবার থেকে নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু করতে পারে, যেহেতু ট্রেন্ডলাইন ইতোমধ্যেই ব্রেক করা হয়েছে। তবে, এমন মুভমেন্টকে সমর্থন করার মতো মৌলিক উপাদান খুবই সীমিত। আমরা এখনো মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চিত, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ভিত্তিতে ট্রেড করাই উত্তম হবে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3518, 1.3580–1.3592, 1.3652–1.3660, 1.3695।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই; যুক্তরাষ্ট্রে JOLTs চাকরির শূন্যপদ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে এই প্রতিবেদন সরাসরি বেকারত্বের হারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, এবং বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা চাকরির সংখ্যা নয় বরং বেকারত্বের হারের দিকেই বেশি মনোযোগী থাকবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...