সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবার শুধুমাত্র অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে ZEW ইনস্টিটিউট থেকে সম্পূর্ণ গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট বা অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে, তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—সেগুলো হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা শিল্প উৎপাদন এবং রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। যদি আসন্ন প্রতিবেদনের প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় ভিন্ন হয়, তাহলে মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে—তবে এই মুহূর্তে মূল্যের 50 পিপসের ওঠানামার আদৌ কী কোনো তাৎপর্য আছে? ধরে নেওয়া যাক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট সাময়িকভাবে ডলারকে সহায়তা করবে, তখনও যদি ডলারের দর বৃদ্ধি পায়—পরদিন ট্রাম্প এসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেই ডলার আবার দরপতনের শিকার হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। কোনো বড় ধরনের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যদিও দিনেরবেলা গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসতে পারে। ট্রাম্প ইতোমধ্যে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরান হামলায় অংশ নেয়নি—কিন্তু সেটি খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না, কারণ সবাই জানে যা যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন করে। মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত এখন আর আগের মতো ডলারকে সহায়তা দিচ্ছে না।
আমাদের বিশ্বাস, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবল বাণিজ্য যুদ্ধের দিকেই মনোযোগী রয়েছে, এবং এর সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যায়নি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে গণবিক্ষোভ, ট্রাম্পের "অনেক সুন্দর একটি আইন," 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনায় অগ্রগতি, এবং শুল্ক আরোপ বা বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত থাকায় ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারত—তবে এই বিষয়টিও গত শুক্রবার ট্রেডারদের মার্কিন গ্রীনব্যাক কিনতে উৎসাহিত করতে পারেনি।
উপসংহার:
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তুলনামূলকভাবে শান্ত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ বড় ধরনের কোনো খবর প্রকাশের সম্ভাবনা নেই। তবে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে নতুন করে হামলার ঘটনা আবারও ডলার বিক্রয়ের চাপ সৃষ্টি করতে পারে। মার্কিন ট্রেডিং সেশনে ট্রেডাররা যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা শিল্প উৎপাদন ও রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।