প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ১৮ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-06-18T10:25:53

১৮ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৮ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারও দিনের দ্বিতীয়ার্ধে উল্লেখযোগ্যভাবে দরপতনের সম্মুখীন হয়, যার পেছনে যেসব কারণ কাজ করেছে তা পূর্বানুমান করা প্রায় অসম্ভব ছিল। আমাদের মতে, ডলার শক্তিশালী হয়েছে কারণ যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাতে পারে—যার ইঙ্গিত ট্রাম্প গত কয়েকদিন ধরেই দিয়ে আসছিলেন—অথবা এটি হতে পারে আজকের ফেডারেল রিজার্ভ মিটিংয়ের আগাম প্রতিক্রিয়া। উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন চেয়েছিল ইরান একটি "পারমাণবিক চুক্তি" স্বাক্ষর করুক, যার আওতায় তেহরানকে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেও পারমাণবিক উন্নয়ন ত্যাগ করতে হতো। ইরান এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয় এবং সেই কারণে তিনি দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক হামলার জন্য প্রস্তুত। এটি মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের আরও একটি নতুন মাত্রা; স্বল্পমেয়াদে এটি ডলারকে কিছুটা সহায়তা করতে পারে।

ফেড সভার প্রসঙ্গে বললে, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলারের জন্য বাস্তবিক কোনো সহায়তা আশা করা অত্যন্ত কঠিন। তাই আমরা এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না যে, গতকালকের মুভমেন্ট ছিল একটি টেকনিক্যাল র্যালি এবং আজ বাজার তুলনামূলক ভালো দামে ডলার বিক্রি করতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৮ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ইউরোপিয়ান ট্রেডিং সেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি দুর্দান্ত সেল সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। মূল্য তিনবার 1.3580–1.3592 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে এবং তারপর সারাদিনজুড়ে পেয়ারের মুভমেন্ট নিম্নমুখী থাকে, যা থেকে আরও কিছু সেল সিগন্যাল তৈরি হয়। সেশনের শেষে পেয়ারের মূল্য 1.3421–1.3443 এরিয়ায় পৌঁছে যায়, যেখানে একমাত্র শর্ট পজিশনের প্রফিট নেওয়া সম্ভব হয়। প্রফিটের পরিমাণ ছিল কমপক্ষে 130–140 পিপস।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ার এখনো প্রধানত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিমালা দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং ট্রেডাররা এখনো এসব নীতির প্রতি গভীর সংশয় প্রকাশ করছে। আগের মতোই, মার্কেট প্রতিটি সুযোগে ডলার বিক্রি করছে, কিনছে না। এটি সম্ভবত চলতেই থাকবে যতদিন না মার্কেট ট্রেড ওয়ারের সমাপ্তির স্পষ্ট সংকেত পায় এবং যতদিন না ট্রাম্প নিজ ক্ষমতার বাইরে সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ করেন। মাঝে মাঝে ডলার বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ প্রতিদিনের মতো ক্রমাগত পতন সম্ভব নয়, তবে এমন ঘটনা এখনো বিরল।

বুধবার GBP/USD পেয়ার আবারও উচ্চ ভোলাটিলিটি প্রদর্শন করতে পারে, কারণ আজকের ক্যালেন্ডারে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে:

  • যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ইরান হামলা।
  • ফেডারেল রিজার্ভ সভা।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3518–1.3535, 1.3580–1.3592, 1.3643–1.3652, 1.3695, 1.3740। বুধবার যুক্তরাজ্যের মে মাসের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, যা আজকের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে আজ মার্কেটে "ঝড়ো আবহাওয়া" দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...