সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। আজ একমাত্র উল্লেখযোগ্য বিষয় হবে ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ এবং নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। একইসঙ্গে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সামরিক সংঘাত—যাতে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে—এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য-সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে ভুলে যাওয়া যাবে না। এইগুলোই আজ উভয় ইনস্ট্রুমেন্টের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে, লাগার্দের ভাষণকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলেও, আমরা আশা করছি না যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। ইসিবির বৈঠক সদ্য অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই আজ নতুন কোনো বিবৃতির প্রত্যাশা করার কারণ নেই।
এছাড়াও, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকও উল্লেখযোগ্য, যার ফলাফল আগেই অনেকটা জানা। মূল মনোযোগের বিষয় হবে মূল সুদের হার নিয়ে ভোটের ফলাফল। ভোট বিভাজনের ধরন অনুযায়ী মধ্যাহ্নের আশপাশে পাউন্ডের মূল্যের চলমান মুভমেন্টে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
আমরা মনে করি, বাণিজ্য যুদ্ধই ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এখনো কোনো সমাধানের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ইস্যুর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক গণ-আন্দোলন, ট্রাম্পের তথাকথিত "অতি সুন্দর আইন", 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি আছে কি না, নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান ট্যারিফ বৃদ্ধির বিষয়গুলো।
তাত্ত্বিকভাবে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এতে জড়িয়ে পড়লে ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে আমরা মনে করি না যে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে সমর্থন পাবে।
উপসংহার:
সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ থাকবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের দিকে। এর ফলে, আবারও উভয় পেয়ারের মূল্যের যথেষ্ট এলোমেলো মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।