প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ২৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-06-26T05:59:06

২৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

২৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং চলতি সপ্তাহে মার্কেটে স্পষ্টভাবে গত পাঁচ মাস ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য ছাড়া—যা মূলত মঙ্গলবারের বক্তব্যের হুবহু পুনরাবৃত্তি ছিল—মার্কেটে নতুন করে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য আসেনি। তবুও ডলার আরও 100 পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে। তাই আজ প্রকাশিতব্য মার্কিন জিডিপি এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন মার্কেট সেন্টিমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, এমনটা আমরা আশা করছি না। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের সময় স্থানীয়ভাবে মার্কিন ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারে, তবে সেটারই বা কী গুরুত্ব রয়েছে? শুধুমাত্র এই কারণে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে কম সংকুচিত হয়েছে, তাই বলে কি ডলারের পাঁচ মাসব্যাপী চলমান দরপতন থেমে যাবে? এমন সম্ভাবনা কম।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

২৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য, যিনি ইতোমধ্যেই সপ্তাহের শুরুতে বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেননি। একই কথা ক্রিস্টিন লাগার্দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যিনি এই সপ্তাহেই বক্তব্য রেখেছেন কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছুই জানাননি। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে, এবং সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে জুলাই মাসে সুদের হার কমানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন। স্পষ্টতই, যত বেশি এই ধরনের মতামত সামনে আসবে, ডলারের দরপতনের সম্ভাবনাও তত বেশি হবে।

এখনো মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, এবং এখন পর্যন্ত যার কোনো সমাধান বা উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত নেই। পরিস্থিতি খুব দ্রুত উত্তপ্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য বাদে) একটি বাণিজ্য চুক্তিও স্বাক্ষর করতে পারেননি। তার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।

উপসংহার:

এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আরও বাড়তে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই বোঝা যাবে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করবে কি না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভেন্ট সামনে রয়েছে, এবং ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...