ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি স্পষ্টভাবে জিরো লাইনের উপরে উঠা শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1746-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো ক্রয় করা থেকে বিরত ছিলাম। এই লেভেলের দ্বিতীয়বারের টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যা সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে, তবে এই পেয়ারের পূর্ণ মাত্রার দরপতন তখনো দেখা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষরের সম্ভাবনার খবর আসার পর ইউরোর দর বেড়ে যায়। একই সময়ে, মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত মার্কিন অর্থনীতির গভীরতর সংকটগুলি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন, যা আগের তুলনায় বেশি বলে মনে হচ্ছে, এবং এটি ডলারকে দুর্বল করেছে। বাণিজ্য চুক্তির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনো অনিশ্চিত, এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে: কেউ কেউ শুল্ক নীতির কারণে নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা করছেন, অন্যরা এই সুযোগকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্কারের ও ন্যায্য শর্ত প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।
আজ ইউরোজোনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হবে। বিশেষ নজর দেওয়া হবে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI-এর দিকে। পাশাপাশি, বেকারত্বের হার এবং কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) সম্পর্কিত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়ার ক্ষেত্রে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করে। এই সূচকের ফলাফল 50-এর উপরে এলে তা শিল্পখাতে সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়, আর 50-এর নিচে মান এলে তা সংকোচনের ইঙ্গিত দেয়, যা ইউরোকে দুর্বল করতে পারে। বেকারত্বের তথ্যও বর্তমানে বেশ প্রাসঙ্গিক—এটি হ্রাস পেলে শ্রমবাজার পরিস্থিতির উন্নতির সংকেত পাওয়া যায়, যা ভোক্তা ব্যয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হবে CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক, যা মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা প্রতিফলিত করে। CPI বৃদ্ধি পেলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতির আরও নমনীয়করণ থেকে বিরত থাকতে পারে, যা ইউরোর জন্য সহায়ক হতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1855-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1806-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1855-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1777-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1806 এবং 1.1855-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1777-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1729-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1806-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1777 এবং 1.1729-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।