মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা গেছে। শুধুমাত্র মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় ডলারের মূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে সক্ষম হয়, তবে এটিকে ডলারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তির লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়। শুধুমাত্র অ্যাটলান্টিকের ওপার থেকে প্রকাশিত কিছুটা ইতিবাচক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সামান্য কারেকশন হয়েছে, তবে দিনের শেষে ডলারের মূল্য আবার মঙ্গলবারের দিনের শুরু লেভেলে ফিরে এসেছে। হ্যাঁ, ডলারের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের ভিত্তিতে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী ছিল? ইতোমধ্যেই আজই পুনরায় মার্কিন কারেন্সির দরপতন শুরু হতে পারে, কারণ এখনও ডলার বিক্রির পক্ষে প্রচুর মৌলিক কারণ রয়েছে। সামনে বেকারত্বের হার এবং ননফার্ম পে-রোলস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি এই সূচকগুলোর অবনতি ঘটে, তবে এটি ফেডারেল রিজার্ভকে পুনরায় আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের দিকে এগিয়ে নেবে। আর ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানোর পূর্বেই ডলারের দরপতন হচ্ছে। যদি সুদের হারে কমানো শুরু হয়, তবে ডলারের দরপতন আরও ত্বরান্বিত হবে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
মঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুইটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3763-এর লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যায়, এরপর আবার এই লেভেলের নিচে নেমে আসে। প্রথম সিগন্যালটি 100% ভুল প্রমাণিত হয়, তবে দ্বিতীয় সিগন্যালটি নতুন ট্রেডারদের আনুমানিক 25 পিপস লাভ করার সুযোগ দেয়, যা অন্তত প্রথম ট্রেডের ক্ষতিপূরণে সহায়ক হয়েছিল।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং তার গৃহীত নীতিমালার ব্যাপারে ট্রেডারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। মার্কেটের ট্রেডাররা হয় ডলার বিক্রি করছে, অথবা কোনো নেতিবাচক আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে, যাতে করে পুনরায় ডলার বিক্রয় শুরু করা যায়। এই অবস্থা চলতে থাকবে যতক্ষণ না বাস্তবিক অর্থে বাণিজ্য যুদ্ধ সমাপ্তির কোনো লক্ষণ দেখা যায় এবং যতক্ষণ না ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ করেন, যা নেয়ার সাংবিধানিক অধিকার তার নেই—এই ধরনের সিদ্ধান্ত মার্কেটের ট্রেডারদের হতবাক করে দেয়।
বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। আগের মতোই, মার্কিন ডলারে বিনিয়োগ না করার জন্য প্রচুর মৌলিক কারণ রয়েছে।
5 মিনিটের চার্ট অনুযায়ী, বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3580–1.3592, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।
বুধবার যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে কার্যত কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তবে উল্লেখযোগ্য যে, নতুন করে ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। ট্রাম্প এখন মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই বহিষ্কার করতে চান, আর মাস্ক ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাচ্ছেন।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।