NZD/USD পেয়ার বর্তমানে 0.6000-এর সাইকোলজিক্যাল লেভেলের উপরে ট্রেড করছে; তবে, সামগ্রিকভাবে শক্তিশালী মার্কিন ডলারের প্রেক্ষিতে এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের নীতির ফলে মুদ্রাস্ফীতির চাপ আরও বাড়বে এবং ফেডারেল রিজার্ভ সতর্ক ও পর্যবেক্ষণমূলক অবস্থানে থাকবে এমন প্রত্যাশা মার্কিন ডলার সূচক সমর্থন দিচ্ছে। পাশাপাশি, মার্কিন বাণিজ্য নীতির অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করছে, যা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে মার্কিন ডলারকে আরও শক্তিশালী করছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কারেন্সিগুলোর ওপর—বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড ডলারের ওপর—চাপ সৃষ্টি করছে।
টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, 4-ঘণ্টার চার্টে এই পেয়ারের মূল্য 100-দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিয়ারিশ সিগনাল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একই টাইমফ্রেমে নেগেটিভ অসিলেটরগুলো চলমান কারেকশন নিশ্চিত করছে।
তবে, নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করার আগে এই পেয়ারের মূল্যের 0.5975 লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়া প্রয়োজন। এর ফলে, এই পেয়ারের দরপতন গতিশীল হতে পারে এবং প্রথমে মূল্য 0.5940 লেভেলের মধ্যবর্তী সাপোর্টে পৌঁছাতে পারে, এরপর 0.5900-এর সাইকোলজিক্যাল লেভেল এবং জুন মাসের সর্বনিম্ন 0.5880 লেভেলের দিকে নামতে পারে।
অন্যদিকে, যদি মার্কেটে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য 0.6021 লেভেলে রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হতে পারে, যেখানে 200-SMA অবস্থান করছে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স হবে 0.6060। মূল্য আরও বাড়লে 0.6100 লেভেল অতিক্রম করে এই পেয়ারের মূল্য পুনরায় বার্ষিক সর্বোচ্চ 0.6120-এর লেভেলে পৌঁছাতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলের উপরে স্থিতিশীল মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে সেটি প্রবণতা পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং পরবর্তীতে বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা তৈরি করবে।