সাম্প্রতিক সময়ে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল মার্কিন আইনপ্রণেতা, হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রেরিত এক চিঠিতে পাওয়েল হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সমালোচনার জবাব দেন, যিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের $2.5 বিলিয়ন ডলারের সংস্কার প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। হোয়াইট হাউসের বাজেট ও ব্যবস্থাপনা অফিসের পরিচালক রাস ভটের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে পাওয়েল বলেন, "আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্বে কংগ্রেস কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনসম্পদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার দায়িত্বকে গুরুত্ব সহকারে দেখি।"
উল্লেখ্য, এই বিতর্কের সূচনা হয়েছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত ফেডারেল রিজার্ভের দুটি ঐতিহাসিক সদরদপ্তরের সংস্কার প্রকল্প ঘিরে। ট্রাম্প, ভট এবং প্রেসিডেন্টের অন্যান্য ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ এই প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি ও সংস্কার বিষয়ে পাওয়েলের সাম্প্রতিক কংগ্রেস সামনে বক্তব্যকে এনে তাঁর কার্যক্রমের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন। এই সমালোচনাও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফেডের প্রতি সুদের হার কমানোর বারবার আহ্বানের সাথে মিলে যায়।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ফেডের কর্মকর্তারা সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছেন এবং ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক পদক্ষেপগুলোর প্রভাব মূল্যস্ফীতি ও শ্রমবাজারে কীভাবে পড়ে, তা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। এই বিরতিতে ট্রাম্প অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং প্রায়শই পাওয়েলের উদ্দেশ্যে সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প বহুবার বলেছেন, উচ্চ সুদের হার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং বাণিজ্য নীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অন্যদিকে, আইনপ্রণেতারা কেউ কেউ সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতার অভাব বা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য পাওয়েলের সমালোচনা করেছেন। তা সত্ত্বেও, পাওয়েল বারবার ফেডের স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে সাফাই গাইছেন এবং শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বহুবার বলেছেন যে, মুদ্রানীতি রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
স্পষ্টতই, ভবন সংস্কার প্রসঙ্গটি কেবল একটি অজুহাত, যার উদ্দেশ্য হলো পাওয়েলকে ফেড কমিটি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা।
এই পরিস্থিতিতে ফেডের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার পাওয়েলকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং ব্যয়ের অতিরিক্ত অংশকে মূল্যস্ফীতির ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। ওয়ালার বলেন, "আমার জানামতে যতগুলো নির্মাণ প্রকল্প হয়েছে — এই ব্যয় খুব স্বাভাবিক। আমি এটিকে সমর্থন করছি না, কিন্তু এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর 2017 সালে প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি দেখা গিয়েছিল, যা অবশ্যই এর একটি অংশ।"
বর্তমানে EUR/USD-এর টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1655 লেভেলে পুনরুদ্ধারের উপায় বের করতে হবে। শুধুমাত্র তখনই 1.1690 লেভেল টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যাবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1720 লেভেল পর্যন্ত বাড়তে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1770-এর লেভেল। যদি ইন্সট্রুমেন্টটির দরপতন শুরু হয়, তাহলে আমি আশা করি মূল্য 1.1598 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় জোরালোভাবে এই পেয়ার ক্রয়ের প্রবণতা দেখা দেবে। যদি মূল্য ঐ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ারের চাহিদা না থাকে, তাহলে 1.1562-এর নিম্ন লেভেল পুনরায় টেস্ট না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে অথবা 1.1511 থেকে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3442 এর কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3481-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যদিও এই লেভেলের ওপরে ওঠা এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে কঠিন হতে পারে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3532-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন শুরু হয়, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3405-এর লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিচের দিকে নামলে, ক্রেতাদের অবস্থান গুরুতরভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3368-এর নিম্ন লেভেলের দিকে নেমে যেতে পারে, এমনকি আরও নিচে 1.3336 লেভেল পর্যন্ত নেমে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকবে।