প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ২৪ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-07-24T06:02:54

২৪ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২৪ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই মুভমেন্টের জন্য কোনো খবর কিংবা প্রতিবেদনের প্রয়োজন হয়নি। আমরা বহুবার বলেছি, বর্তমান বৈশ্বিক মৌলিক পরিস্থিতি এমন যে, মার্কিন ডলারের দরপতনের জন্য তা যথেষ্ট। পাওয়েলের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মার্কেটের ট্রেডাররা একটি নির্দিষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে যদি মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ আশাব্যঞ্জক হতো, তাহলে টানা ছয় মাস ধরে ডলারের দরপতন হত না।

অতএব, আমরা মার্কিন স্টক মার্কেটের প্রবৃদ্ধি কিংবা বিটকয়েনের দর বৃদ্ধিকে মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী বা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছি না। আমাদের মতে, ডলার নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যা প্রত্যাশা করছেন, তার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, EUR/USD পেয়ারের পরিস্থিতির সঙ্গেই এই পেয়ারের মিল রয়েছে: এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ওপরে কনসোলিডেট করেছে, এবং এখন একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২৪ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বুধবার এই পেয়ারের মূল্য 1.3518–1.3532 এরিয়া থেকে দুইবার রিবাউন্ড করে পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.3574–1.3590 জোন পর্যন্ত পৌঁছায়। ওই এরিয়া থেকে পরবর্তী দুইটি বাউন্সের সময়েও নতুন ট্রেডারদের জন্য শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই সিগন্যালগুলো একে অপরের পুনরাবৃত্তিমূলক ছিল। ফলস্বরূপ, বুধবার কিছুটা হলেও মুনাফা করা সম্ভব ছিল, যদিও পুরো দিনে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা খুবই কম ছিল।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানীয় পর্যায়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ওপরে কনসোলিডেট করেছে, যা নির্দেশ করে যে, সামনের সপ্তাহগুলোতে আরও মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। মৌলিক পরিস্থিতি এখনো মার্কিন ডলারের বিপক্ষে কাজ করছে, এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক বহু বিষয় এখনো মার্কেটে পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়েও GBP/USD পেয়ারের মূল্য বাড়তে পারে। আমাদের মতে, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3574–1.3590 এরিয়া ব্রেকআউট করে, তাহলে পাউন্ডের মূল্যের পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3643–1.3652 জোন।

৫ মিনিটের চার্টে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3525, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে এই ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্ব বেশি, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ISM-এর মতো আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূচক রয়েছে, সাধারণত যার ভিত্তিতে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা মার্কিন ব্যবসায়িক কার্যকলাপ মূল্যায়ন করে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...