প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়ছে

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-08-04T09:37:20

বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়ছে

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই ফেডারেল রিজার্ভের একাধিক কর্মকর্তার মন্তব্য মার্কেটে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে, যা আবারও মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জটিল পরিস্থিতি তুলে ধরেছে।

বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়ছে

ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার এবং মিশেল বোম্যান উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, সুদের হার হ্রাসের ব্যাপারে ফেডের অনীহা শ্রমবাজারের জন্য অপ্রয়োজনীয় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এই উদ্বেগ ফেডের দ্বৈত লক্ষ্য—মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তিশালী শ্রমবাজার—এর মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন। একদিকে, উচ্চ সুদের হার ব্যয় ও বিনিয়োগ সীমিত করে মূল্যস্ফীতি দমন করতে সাহায্য করে। অপরদিকে, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর করে এবং বেকারত্ব বাড়াতে পারে।

ওয়ালার এবং বোম্যানের মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্ভবত উচ্চ সুদের হার বজায় রাখার পক্ষে যথেষ্ট শক্তিশালী নয়, কারণ মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে এবং শ্রমবাজারে দুর্বলতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কঠোর আর্থিক নীতিমালা অব্যাহত রাখলে সেটি অতিরিক্ত অর্থনৈতিক মন্থরতা ও চাকরি হারানোর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যেটিকে তারা অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন। বরং তারা আরও সতর্ক পদক্ষেপের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা দিতে এবং শ্রমবাজারে অপ্রয়োজনীয় ক্ষতি এড়াতে তারা ধীরে ধীরে সুদের হার কমানোর পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, ফেডের নীতিনির্ধারণী বিষয়ক বৈঠকে ওয়ালার এবং বোম্যান মূল সুদের হার পরপর পঞ্চমবারের মতো অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। উভয়ই সুদের হার 0.25% করে কমানোর পক্ষে ছিলেন। শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে তারা তাদের ভিন্নমতের কারণ ব্যাখ্যা করেন এবং শ্রমবাজারে দুর্বলতার ইঙ্গিতগুলোর ওপর গুরুত্ব দেন।

তাদের এই অবস্থান ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এবং অন্যান্য নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভিন্ন, যারা এখনও শ্রমবাজার পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে দৃঢ় রয়েছে বলেই বিবেচনা করছেন এবং সুদের হার পরিবর্তনে ধৈর্যশীল কৌশলের পক্ষে রয়েছেন, যাতে মূল্যস্ফীতি ও অর্থনীতির উপর ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব কীভাবে পড়ছে তা মূল্যায়নের জন্য আরও সময় পাওয়া যায়।

ওয়ালার তার বিবৃতিতে বলেন, "আমার বিশ্বাস, এই 'অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের' কৌশলটি অতিরিক্ত রক্ষণশীল এবং এটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় ভারসাম্য বজায় রাখে না। এতে নীতিমালা প্রয়োগে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি।" তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যৎ তথ্য সংশোধন এবং বেসরকারি খাতে মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতির কারণে শ্রমবাজারে ঝুঁকি বেড়েছে।

বোম্যান, যিনি ফেডের প্রধান ব্যাংক তত্ত্বাবধায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন, বলেন—নীতিমালা বাস্তবায়নে বিলম্ব শ্রমবাজারের অবস্থাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও মন্থর করতে পারে। তিনি বলেন, "মূল্যস্ফীতি 2%-এর দিকে স্থির হয়ে যাওয়া, মোট চাহিদার দুর্বলতা এবং শ্রমবাজারে অস্থিরতার লক্ষণের আলোকে, আমি মনে করি এখন আমাদের কর্মসংস্থান-সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলোর দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।"

এই মন্তব্যের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন: "ফেড বোর্ডে তীব্র মতবিরোধ কেবল আরও বাড়বে!" শুক্রবার আগেই এক আলাদা বার্তায় তিনি ফেডের অন্যান্য গভর্নরদের প্রতি আহ্বান জানান যে, যদি পাওয়েল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে থাকেন, তাহলে বাকিদের উচিৎ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস:
ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1600 রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করিয়ে উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই 1.1640 লেভেল টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা গ্রহণযোগ্য হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1665 পর্যন্ত অগ্রসর হওয়া সম্ভব, তবে বড় ক্রেতাদের সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1690 এর উচ্চতা। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যা, তাহলে মূল্য 1.1555 লেভেলে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। যদি মূল্য ওই লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রয়ের আগ্রহ না দেখা যায়, তাহলে 1.1518-এর লেভেল রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করা অথবা 1.1479 থেকে লং পজিশনের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস:

পাউন্ড ক্রেতাদের প্রথমে মূল্যের 1.3305-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। তাহলে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3340-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে, যদিও মূল্যের এই লেভেলের উপরে ওঠা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা 1.3380-এর লেভেলে নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্য 1.3255 লেভেলে থাকা অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই রেঞ্জ ব্রেক করলে তা ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3217 লেভেলের দিকে নামবে, যার পরে মূল্যের 1.3180-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...