প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ মার্কিন ডলারের দর তীব্রভাবে বেড়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে ব্যাপক দরপতনের শিকার হয়

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-08-15T09:43:22

মার্কিন ডলারের দর তীব্রভাবে বেড়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে ব্যাপক দরপতনের শিকার হয়

মার্কিন ডলারের দর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে তীব্রভাবে বেড়েছিল, তবে পরবর্তীতে প্রায় একই মাত্রায় তীব্র দরপতন হয়। জুলাই মাসে মার্কিন উৎপাদক মূল্যসূচক (PPI) অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এমন খবর প্রকাশের পর ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, কোম্পানিগুলো শুল্কের প্রভাবের ফলে সৃষ্ট উচ্চ আমদানি খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

মার্কিন ডলারের দর তীব্রভাবে বেড়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে ব্যাপক দরপতনের শিকার হয়

মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উৎপাদক মূল্য সূচক আগের মাসের তুলনায় 0.9% বেড়েছে, যা জুন 2022-এ ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। গত বছরের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে 3.3%-এ পৌঁছেছে। উৎপাদক-নির্ভর মুদ্রাস্ফীতির এমন ত্বরান্বিত বৃদ্ধি ফেডারেল রিজার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে, যারা ইতোমধ্যেই অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যেহেতু ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, তাই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যাওয়ার উদ্বেগ সত্ত্বেও ফেডকে উচ্চ সুদের হার বজায় রাখার নীতি অব্যাহত রাখতে হতে পারে।

মার্কেটে এর প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। একদিকে, উচ্চ সুদের হার অর্থায়নের খরচ বাড়িয়ে কর্পোরেট মুনাফা হ্রাস করতে পারে। অন্যদিকে, বিনিয়োগকারীরা সরকারি বন্ডের মতো নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে সরে যেতে পারে, যা স্টকের মূল্য কমিয়ে দিতে পারে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত মাসে পরিষেবার খরচ 1.1% বেড়েছে — যা মার্চ 2022-এর পর সর্বোচ্চ স্তর। পরিষেবা খাতে পাইকারি ও খুচরা মুনাফার মার্জিন 2% বেড়েছে, যা মূলত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের পাইকারি বাণিজ্যের কারণে হয়েছে। খাদ্য ও জ্বালানি বাদে পণ্যের দাম 0.4% বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "যদিও এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা উচ্চ শুল্ক-সম্পর্কিত অধিকাংশ খরচ বহন করেছে, তবে আমদানিকৃত পণ্যের দামের বৃদ্ধির কারণে মার্জিন ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে।" এছাড়াও বলা হয়েছে, বছরের প্রথমার্ধে চাহিদা দুর্বল থাকা সত্ত্বেও কোম্পানিগুলো পণ্য ও পরিষেবার দাম সমন্বয় করছে, যাতে মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত খরচ পুষিয়ে নেওয়া যায়। স্পষ্টতই, কোম্পানিগুলো কতটা শুল্কের বোঝা ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেবে তা ভবিষ্যৎ সুদের হারের প্রবণতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

যদিও ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারা সাধারণত আশা করেন যে, আমদানি শুল্ক বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করবে, তবে তারা এ ব্যাপারে বিভক্ত যে এই সমন্বয় এককালীন হবে নাকি দীর্ঘস্থায়ী প্রবণতা হবে। এই সপ্তাহের শুরুতে প্রকাশিত ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, জুলাই মাসে মূলস্ফীতি বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে মন্থর হয়েছে এবং শ্রমবাজার গতি হারাচ্ছে, তাই ফেড আগামী মাসের বৈঠকে ঋণ গ্রহণের খরচ কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে উৎপাদক মূল্য সূচকের শক্তিশালী ফলাফল কিছু নীতিনির্ধারককে ভাবাতে পারে যে, নিকট ভবিষ্যতে আবারও মূল্যস্ফীতির চাপ তীব্র হতে পারে। নীতিনির্ধারকদের এখনও যে প্রশ্নের সমাধান করতে হবে তা হলো, এই মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির কতটা অংশ পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা এবং পুনর্বিক্রেতারা শোষণ করবে।

বর্তমান EUR/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1700-এর লেভেল ব্রেক করিয়ে ঊর্ধ্বমুখী করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1730 লেভেল টেস্ট করানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারবে। সেখান থেকে মূল্যের 1.1770-এর দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া তা করা চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1790 উচ্চতা। যদি ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে যায়, আমি মূল্য 1.1640 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার আশা করছি। যদি সেখানে কেউ সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1600 লেভেলের রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করা বা 1.1565 থেকে লং পজিশন ওপেন করা উত্তম হবে।

বর্তমান GBP/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3555 ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3590-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করতে পারবে, যার উপরে ব্রেকআউট করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্য হলো 1.3615 লেভেল। যদি পেয়ারটির মূল্য কমে যায়, মূল্য 1.3520-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানে গুরুতর আঘাত হানবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এর নিম্নে নামিয়ে আনবে, যারপর এই পেয়ারের মূল্যের 1.3445-এর দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...