সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে এগুলোর সবকটিই স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন। যুক্তরাষ্ট্রে বিল্ডিং পারমিট বা নির্মাণ অনুমোদন এবং হাউজিং স্টার্ট বা বাড়ি নির্মাণ শুরু সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমাদের মতে, এসব প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে খুবই সীমিত মাত্রায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তাও কেবল তখনই যদি প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়। জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে কেবল একটি উল্লেখযোগ্য, তা হলো ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি বিষয়ক কমিটির সদস্য মিশেল বোম্যানের ভাষণ। মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, বোম্যান অতিমাত্রায় ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং তিনি মনে করেন মুদ্রানীতির নমনীয়করণ অবিলম্বে শুরু করা উচিত। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্পই তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন, তাই তার মতামত অপ্রত্যাশিত নয়। তবুও, যেকোনো পরিস্থিতিতেই ফেড মূল সুদের হার কমানোর পথে অগ্রসর হচ্ছে, ফলে আরেকটি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত বিনিয়োগকারীদের বিস্মিত করবে না।
ট্রেডাররা এখনো বাণিজ্য যুদ্ধকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমরা এখনও মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তিতে যদি শুল্ক বজায় রাখা হয়, তাহলে সেটি একই বাণিজ্য যুদ্ধের অংশ, কেবল "অন্য নামে"। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে সম্পাদিত এ ধরনের চুক্তিগুলো অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন অনুরূপ চুক্তি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে। তবে বৈশ্বিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীরা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিমালার বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ডলারের উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
উপসংহার:
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। আজ কার্যত কোনো মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি নেই যা মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং সম্প্রতি অস্থিরতার মাত্রাও কম ছিল। ফলস্বরূপ, আজ যেকোনো ট্রেডিং পজিশন কেবলমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতেই ওপেন করা উচিত।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।