বিটকয়েনের মূল্য প্রায় $112,500 লেভেল পর্যন্ত পতনের শিকার হওয়ার পর থেকে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে যে মার্কেটে এ বছরের মতো বুলিশ প্রবণতা কি শেষ হয়ে গেছে কিনা।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্রয় কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, সেইসাথে মার্কেটে নতুন বিনিয়োগকারীরা প্রবেশ করছে না, এবং স্পট ETF থেকে আউটফ্লো অব্যাহত রয়েছে। এসবই স্বল্পমেয়াদে বেশ উদ্বেগজনক সংকেট, যা স্পেকুলেটিভ ট্রেডারদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের চাহিদার পতনের কারণে মার্কেটে প্রয়োজনীয় গতিশীলতা সৃষ্টি হচ্ছে না, অন্যদিকে নতুন বিনিয়োগকারীর অভাব সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে, ফলে দর বৃদ্ধির সুযোগ সীমিত হচ্ছে। একই সময়ে স্পট ETF থেকে আউটফ্লো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বিনিয়োগকারীরা মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতির উপর আস্থা হারাচ্ছেন। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের অনিশ্চয়তা, নিয়ন্ত্রণ কাঠামো সংক্রান্ত ঝুঁকি, অথবা ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর মুনাফা গ্রহণের ধারাবাহিকতা—যার মধ্যে শেষের কারণটি সবচেয়ে বেশি সম্ভাব্য মনে হচ্ছে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ধারাবাহিক আউটফ্লো বিটকয়েনের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে এবং এটির মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি করছে।
এই প্রেক্ষাপটে, ফিয়ার অ্যান্ড গ্রিড ইনডেক্সের 44-এ নেমে যাওয়াটা আশ্চর্যের নয়—যা 22 জুনের পর সর্বনিম্ন স্ত্র। এই স্তরে পৌঁছে সূচকটি বিনিয়োগকারীদের নিরপেক্ষ মনোভাব প্রতিফলিত করছে, যা মার্কেটের পরবর্তী দিকনির্দেশনা নিয়ে অনিশ্চয়তা নির্দেশ করছে। কিছুদিন আগে গ্রিড প্রবল ছিল, যা মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করেছিল; এখন পরিস্থিতি বদলেছে, বিনিয়োগকারীরা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। সূচকটির এই পতনকে প্রবণতার সম্ভাব্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। যদিও এটি নিশ্চিত নয়, তবে পূর্ব প্রায়ই দেখা গেছে যে এমন পতনের পর মার্কেটে কনসোলিডেশন কিংবা কারেকশন হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের উচিত সূচকটি ভবিষ্যৎ গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা, যাতে বর্তমান প্রবণতা শক্তি ও পরিবর্তনের সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা যায়।
সূচকটি বর্তমানে যে নিরপেক্ষ অঞ্চলে অবস্থান করছে, তা ইঙ্গিত করছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন দর বৃদ্ধির অনুঘটক অথবা বিপরীতে দরপতনের নতুন কারণ খুঁজছে। আসন্ন দিন ও সপ্তাহগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব গঠনের মূল উপাদান হবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির অগ্রগতি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি বিটকয়েন ও ইথেরিয়ামের মূল্যের বড় ধরনের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করতে থাকব, প্রত্যাশা করছি যে মধ্যমেয়াদে মার্কেটের বুলিশ প্রবণতা—যা এখনও অটুট রয়েছে—অব্যাহত থাকবে।
স্বল্পমেয়াদী ট্রেডিংয়ের কৌশল ও শর্তাবলি নিচে বর্ণনা করা হলো।
বিটকয়েন
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: বিটকয়েনের মূল্য $115,400-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে $113,900-এর এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি এটি কিনব। মূল্য $115,400-এর লেভেলে কাছাকাছি পৌঁছালে আমি অবিলম্বে লং পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে ক্রয় করার আগে, নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের নিচে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর পজিটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি $113,200 লেভেলের ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেলে থেকে বিটকয়েন কেনার আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের $113,900 এবং $115,400-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: বিটকয়েনের মূল্য $111,700-এর লেভেলে দরপতনের লক্ষ্যে $113,200-এর লেভেলে পৌঁছালে আমি বিটকয়েন বিক্রি করব। মূল্য $111,700-এর লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি বিটকয়েনের শর্ট পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে অবিলম্বে লং পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে বিক্রির আগে নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের উপরে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর নেগেটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি $113,900 লেভেলের ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে বিটকয়েন বিক্রি করা যেতে পারে এবং মূল্যের $113,200 এবং $111,700-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
ইথেরিয়াম
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: ইথেরিয়ামের মূল্য $4,291-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে $4,214-এর লেভেলে পৌঁছালে আমি এটি কিনব। মূল্য $4291 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি ইথেরিয়ামের লং পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে ক্রয় করার আগে, আমি নিশ্চিত করব যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের নিচে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর পজিটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি $4,166 লেভেলের ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে ইথেরিয়াম কেনার আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের $4,214 এবং $4,291-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: ইথেরিয়ামের মূল্য $4,091-এর লেভেলে দরপতনের লক্ষ্যে $4,166-এর এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি ইথেরিয়াম বিক্রি করব। মূল্য $4091 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে অবিলম্বে লং পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে বিক্রির আগে নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের উপরে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর নেগেটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি $4,214 লেভেলের ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে ইথেরিয়াম বিক্রির আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং $4,166 এবং $4,091-এর দিকে দরপতনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।