সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
সোমবারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, শুধুমাত্র জার্মানিতে বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত। এটি সম্পূর্ণভাবে একটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, এবং এটির ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়ার আশা করা হচ্ছে না। তবে সোমবার মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা জেরোম পাওয়েলের শুক্রবারের ভাষণ দ্বারা আংশিকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আজ মার্কেটে "শান্ত মুভমেন্ট" দেখা যাবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যেও বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বৈশ্বিকভাবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেনি, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও সম্প্রতি নতুন কোনো শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেননি, কারণ তিনি বর্তমানে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সংঘাত সমাধানের বিষয়টি নিয়েই বেশি ব্যস্ত রয়েছেন।
ট্রেডারদের কাছে বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যেহেতু বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তাই মধ্যমেয়াদে ডলার ক্রয়ের কোনো ভিত্তি আমরা দেখছি না। আগের মতোই, কেবলমাত্র টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন্ন কোনো ইভেন্ট/প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ে মার্কিন কারেন্সির দর বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা যেতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
উপসংহার:
সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারই টেকনিক্যাল ভিত্তিতে ট্রেড করা হবে। গতকাল ইউরোর মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছে এবং 1.1655–1.1666 এরিয়ার দিকে দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে পজিশন ওপেন করার আগে আমরা নতুন সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করাকেই অগ্রাধিকার দেব। আজ 1.3518–1.3532 এরিয়ার আশেপাশে ব্রিটিশ পাউন্ড ট্রেডিংয়ের নতুন সিগন্যাল গঠিত হতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।