শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের উভয় দিকেই — ঊর্ধ্বমুখী এবং নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। দিনের প্রথমার্ধে ব্রিটিশ পাউন্ডের প্রাথমিক দরপতন কোনো মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে হয়নি, তবে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ডলারের দরপতন পুরোপুরি যৌক্তিক ছিল। প্রত্যাশিতভাবেই, কোর PCE মূল্য সূচকের ফলাফল ট্রেডারদের উপর কোনো প্রভাব ফেলেনি; তবে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত ভোক্তা আস্থা সূচকের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে নেতিবাচক ছিল, যা ডলারের নতুন করে দরপতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চগত দেড় সপ্তাহ ধরে আমরা 1.3413 এবং 1.3525 লেভেলের মধ্যে একটি ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করছি। মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা বেশ কম, এবং কোনো স্পষ্ট প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং, ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে বের হতে হলে, মূল্যের 1.3525 লেভেলের উপরে কনসোলিডেশন প্রয়োজন। আমাদের বিশ্বাস, ট্রেডারদের জন্য এটি কোনো সমস্যা হবে না, কারণ মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনও ডলারের জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক। শুধু গত সপ্তাহেই মার্কেটে নতুন করে মার্কিন ডলার বিক্রি শুরু করার জন্য একাধিক কারণ ছিল।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
শুক্রবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3466–1.3475 এরিয়া ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়, তবে এই সিগন্যালটি ভুল বলে প্রমাণিত হয়। এরপর পেয়ারটির মূল্য এই এরিয়ার উপরে কনসোলিডেট করে, এবং এই সিগন্যালটি নতুন ট্রেডারদের কয়েক ডজন পিপস আয় করার সুযোগ দেয়, কারণ এই পেয়ারের মূল্য নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তির এবং একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখনও মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে তেমন একটা ইতিবাচক হয়নি, তাই আমরা এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। বাণিজ্য যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি, ইউক্রেনে সামরিক উত্তেজনা হ্রাস, অথবা ফেডারেল রিজার্ভের উপর ট্রাম্পের চাপ — এই ধরনের যেকোনো পরিস্থিতি মার্কিন মুদ্রার আরেক দফা দরপতনের কারণ হতে পারে।
সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে যদি মূল্য আবারও 1.3518–1.3532 এরিয়া থেকে বাউন্স করে। এমন বাউন্স ফ্ল্যাট মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দেবে। একই সময়ে, মূল্যের এই এরিয়া ব্রেক করার সম্ভাবনা বেশি, যা মূল্যের 1.3574–1.3590-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেবে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে আপনি নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করতে পারেন: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।
সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র — কোনো দেশেই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই; তবে চলতি সপ্তাহজুড়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।