ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1709-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 50 পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্কিন ননফার্ম পেরোলে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, যা ডলারের দরপতন এবং ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন শ্রম দপ্তরের তথ্যানুসারে আগস্টে মাত্র 22,000 নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রত্যাশিত 75,000-এর তুলনায় অনেক কম। প্রতিবেদনটির এই ধরনের ফলাফল কারেন্সি মার্কেটে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে ডলারের দরপতন হয়েছে এবং ইউরোসহ একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার সংকেত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যা ফেডারেল রিজার্ভকে দ্রুত সুদের হার কমাতে বাধ্য করতে পারে। ইউরোর মূল্যও এ পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অর্জন করেছে। ইউরোপীয় মুদ্রার মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখন দুর্বল ডলার এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান পর্যায়ে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে—এমন প্রত্যাশার সাথে যুক্ত।
আজ জার্মানির শিল্প উৎপাদন এবং ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। শিল্প উৎপাদনের পতন হলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা, সাপ্লাই চেইনের সমস্যাসহ জার্মান পণ্যের চাহিদা হ্রাসের ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউরোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একই সময়ে, ট্রেড ব্যালেন্সের ইতিবাচক ফলাফল—বিশেষত যদি তা পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যায়—ইউরোকে সহায়তা করতে পারে, কারণ এটি বৈশ্বিক পর্যায়ে জার্মান পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান প্রদর্শন করবে। পরবর্তীতে ইউরোজোনে সেন্টিক্স ইনভেস্টর কনফিডেন্স বা বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সূচক বৃদ্ধি পেলে তা বিনিয়োগকারীদের আশাবাদ প্রতিফলিত করে, যা সাধারণত বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ইউরোর দর বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। বিপরীতে, সূচকটি হ্রাস পেলে তা অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ বৃদ্ধি কওরে, যা ফিন্যান্সিয়াল মার্কেট এবং কারেন্সির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রত্যাশিত মান থেকে উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি মার্কেটে ভোলাটিলিটি সৃষ্টি করতে পারে এবং ট্রেডারদের দ্রুত তাদের কৌশল পরিবর্তনে বাধ্য করতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1769-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1735-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1769-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1711-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1735 এবং 1.1769-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1711-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1684-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1735-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1711 এবং 1.1684-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।