সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, সেটির ফলাফল নতুন করে মার্কেটে ঝড় তুলতে পারে। আমরা এখানে বার্ষিক ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের কথা বলছি। এটি স্পষ্ট যে, এই প্রতিবেদনটি মাসিক প্রতিবেদন তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এবং গত চার মাসের পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইতিবাচক ফলাফল আসার সম্ভাবনা কম। সুতরাং, আজ মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রির নতুন ভিত্তি খুঁজে পেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, আমরা আগেই আলোচনা করেছি যে এ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আসন্ন বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তেমন কোনো অনিশ্চয়তা নেই। ইসিবি প্রায় নিশ্চিতভাবেই (90% সম্ভাবনা) মুদ্রানীতির নমনীয়করণ শেষ করেছে, কারণ তারা সফলভাবে মুদ্রাস্ফীতিকে 2%-এ নামিয়ে এনেছে। গত 10 মাসে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় 90% সম্ভাবনা রয়েছে যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার হ্রাসে বিরতি নেবে। অন্যদিকে, 99% সম্ভাবনা রয়েছে ফেড সেপ্টেম্বর থেকেই সক্রিয়ভাবে মূল সুদের হার কমাতে শুরু করবে। সুতরাং, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নতুন বক্তৃতা ট্রেডারদেরকে নতুন কোনো তথ্য সরবরাহ করবে না।
উপসংহার:
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর মূল্য 1.1737–1.1745 এর গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া ভেদ করেছে, যা তিন সপ্তাহ ধরে সাইডওয়েজ চ্যানেলের ঊর্ধ্বসীমা হিসেবে কাজ করছিল। একইভাবে, পাউন্ডের মূল্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ 1.3529–1.3543 এরিয়া অতিক্রম করেছে, যা এটির মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান রাখতে সহায়তা করছে। আজকের একমাত্র প্রতিবেদন, ননফার্ম পেরোল, খুব সম্ভবত (90% সম্ভাবনা রয়েছে) মার্কিন মুদ্রার দরপতন ঘটাতে সহায়তা করবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।