গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আজ মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, আর আগামীকাল ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশিত হবে। প্রশ্ন হলো, এগুলো কীভাবে ডলার এবং সার্বিক ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটকে প্রভাবিত করবে?
মনে করিয়ে দিই, মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রত্যাশা করছে যে ফেডারেল রিজার্ভ শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতির কারণে সুদের হার কমাবে। ধারণা করা হচ্ছে, মূল সুদের হার 0.25% কমানো হবে, তবে 0.50% হ্রাসের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে—যা বর্তমানে 8% বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুদের হারে 0.25% হ্রাস ইতোমধ্যেই মার্কিন ও অন্যান্য অ্যাসেটের মূল্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ফরেক্স মার্কেটে ডলারের মূল্যে প্রতিফলিত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং নীতিনির্ধারকদের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে, প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে উৎপাদক ও ভোক্তা মূল্য সূচক উভয় প্রতিবেদনের ফলাফল যদি সর্বসম্মত পূর্বাভাসের সাথে মিলে যায়, তাহলে 0.25% সুদের হার হ্রাসের কাট প্রত্যাশা করা যায়। একই সময়ে, যদি ফলাফল আরও নিম্নমুখী হয়, তাহলে 0.50% হ্রাসের ক্ষেত্র তৈরি হবে।
অবশ্যই, উভয় পরিস্থিতিতেই মার্কেটে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের চাহিদা বাড়বে এবং ডলার বিক্রি হবে। বিশেষ করে, যদি ভোক্তা মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন অপ্রত্যাশিতভাবে—সামান্য হলেও—পতন দেখায়, তাহলে এটি স্টক, স্বর্ণ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির শক্তিশালী চাহিদার মাঝে ডলার বিক্রির একটি শক্তিশালী কারণ হবে। এমন পরিস্থিতি অবিলম্বে সুদের হার অর্ধ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাসের যৌক্তিকতা দেবে, যা মার্কেটে আরও বড় মুভমেন্টের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে।
এখন পর্যন্ত, সকালে মার্কিন স্টক সূচক ফিউচারে ইতিবাচক প্রবণতার সাথে ট্রেডিং দেখা যাচ্ছে, কেবল শিল্পভিত্তিক ডাও সূচক প্রতীকীভাবে 0.05% হ্রাস পেয়েছে।
অতএব, বিশ্ববাজার পরিস্থিতি পরিবর্তনের মূল অনুঘটক হতে পারে আজকের উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন, যা সর্বসম্মত পূর্বাভাস অনুযায়ী বার্ষিক এবং মাসিক উভয় ভিত্তিতে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে—মূল ফলাফল 3.7% থেকে 3.5%-এ এবং সামগ্রিক মাসিক ফলাফল 0.9% থেকে 0.3%-এ পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর আগামীকালের ভোক্তা মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্টোভাবে মাসিক ও বার্ষিক উভয় মানেই বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে—0.2% থেকে 0.3% এবং 2.7% থেকে 2.9%-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সারসংক্ষেপে, আমি মার্কেটের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের জন্য মাঝারি ইতিবাচক এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করছি।
দৈনিক পূর্বাভাস:
USD/JPY
ফেডের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশের আগে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, যা মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন দ্বারা প্রভাবিত হবে। দরপতন হলে এই পেয়ারের বিক্রয়ের প্রবণতা শুরু হতে পারে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা হবে 146.30 লেভেল। এই পেয়ার বিক্রি করার জন্য উপযুক্ত লেভেল হলো 147.25।
AUD/USD
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষাপটে ফেডের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠকের ফলাফলের অপেক্ষায় এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিজার করছে। 0.6625-এর লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি 0.6715 লেভেল পর্যন্ত শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। এই পেয়ার কেনার জন্য উপযুক্ত লেভেল হলো 0.6630।