সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
শুক্রবার বেশ অনেকগুলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানিতে আগস্ট মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় (তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ) অনুমান প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদনের মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোও কম গুরুত্ব বহন করে। যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে। সবগুলো প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেই যদি পূর্বাভাস ও মূল ফলাফলের মধ্যে বড় ধরনের ভিন্নতা দেখা যায় তাহলেই কেবল মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে ।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
শুক্রবার ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। গতকালই ইসিবির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পেয়েছে। ফেডের বৈঠক আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে, যার অর্থ FOMC-এর সদস্যরা বর্তমানে কোনো মন্তব্য বা সাক্ষাৎকার দেওয়ার অনুমতি পাবেন না। শুক্রবার ট্রেডাররা কেবল কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনের ওপরই মনোযোগ দিতে পারবেন।
উপসংহার:
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, তবে এর জন্য নতুন বাই সিগন্যাল প্রয়োজন। ইউরোর ক্ষেত্রে, 1.1737–1.1745 জোন ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে 1.1808-এর দিকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আরও মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। 1.1737–1.1745 জোন থেকে বাউন্স হলে শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে, যদিও উল্লেখযোগ্য দরপতন প্রত্যাশিত নয়। পাউন্ডের ক্ষেত্রে, 1.3529–1.3543 এরিয়া থেকে বাউন্স বা 1.3574–1.3590 জোন ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে লং পজিশন আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, অন্যদিকে 1.3529–1.3543 এর নিচে কনসোলিডেশন হলে শর্ট পজিশন যৌক্তিক হবে। উভয় ক্ষেত্রেই লং পজিশন প্রাধান্য পাবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।