সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
শুক্রবার খুব অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয়। এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে—তাও কেবল তখনই যদি মূল ফলাফল পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়। সামগ্রিকভাবে, আজ ট্রেডাররা কিছুটা বিরতি নিতে পারে, বিশেষ করে যখন পরপর দুই দিন দুটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক এবং যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কারণে মার্কেটে অত্যন্ত সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা গেছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
শুক্রবার ফান্ডামেন্টাল ক্যালেন্ডারে উল্লেখ করার মতো কিছুই নেই। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, যা ট্রেডারদের পরবর্তীতে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য সরবরাহ করেছে। আমাদের মতে, ইসিবির বৈঠকের ফলাফলকে "নিরপেক্ষ," ফেডের বৈঠককে "ডোভিশ বা নমনীয়," এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠককে "নিরপেক্ষ" হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। আমরা মনে করি এই সমন্বয় ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাকে সমর্থন করছে।.
উপসংহার:
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে পুনরায় উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, যদি নতুন বাই সিগন্যাল তৈরি হয়। আজ 1.1737–1.1745 এরিয়া থেকে ইউরোর ট্রেড করা যেতে পারে, এবং 1.3529–1.3543 এরিয়া থেকে পাউন্ডের ট্রেড করা যেতে পারে। তবে উভয় পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনাও বাদ দেওয়া যায় না, তাই যদি সেল সিগন্যাল দেখা দেয়, তাহলে শর্ট পজিশনও বিবেচনা করা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।