সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এর মধ্যে কিছু প্রতিবেদন সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের ডিউরেবল গুডস অর্ডার এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান। এই তৃতীয় অনুমানই চূড়ান্ত প্রতিবেদন, আর প্রথম ও দ্বিতীয় প্রতিবেদন প্রায়ই সংশোধন করা হয়—তাই শেষ প্রতিবেদনটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। ডিউরেবল গুডস সংক্রান্ত প্রতিবেদনও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের মধ্যে উচ্চ-মূল্যের পণ্যের চাহিদার পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে। জার্মানিতে GfK কনজিউমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সূচক প্রকাশিত হবে, তবে এটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের সদস্য বোউম্যান, বার এবং ডেলির বক্তৃতাগুলো উল্লেখযোগ্য। তবে এই মুহূর্তে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির ভেতরে মুদ্রানীতি সম্পর্কিত মতামতের ভিন্নতা পুরোপুরি স্পষ্ট। এখানে তিনজন স্পষ্ট "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থানধারী: ক্রিস্টোফার ওয়ালার, স্টিভ মিরান এবং মিশেল বোউম্যান। ফেডের বাকি সদস্যরা সংযত অবস্থান ধরে রেখেছেন, যা দ্রুত বা আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার হ্রাসের ইঙ্গিত দেয় না। সামগ্রিকভাবে, ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি ধীরে ধীরে নীতিমালা নমনীয়করণের দিকে যাচ্ছে, যা পুরোপুরি নির্ভর করছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল উপর। মেরি ডেলি বা মিশেল বোউম্যানের নতুন মন্তব্য পরিস্থিতি পরিবর্তন ঘটানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
উপসংহার:
সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে উভয় প্রধান কারেন্সি পেয়ারের পুনরায় দরপতন শুরু হতে পারে। যদি ইউরোর মূল্য 1.1737–1.1745 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে তাহলে এটি বিক্রি করা যেতে পারে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1666। যদি পাউন্ডের মূল্য 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে তাহলে এটি বিক্রি করা যেতে পারে, যার লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3421। তবে আমরা বাই সিগন্যালও উপেক্ষা করব না, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক প্রেক্ষাপট এখনো ডলারের পক্ষে নেই।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।