প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ট্রাম্প ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-09-26T08:38:58

ট্রাম্প ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন

গতকাল মার্কিন স্টক মার্কেটে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক প্যাকেজ ঘোষণার পর মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে। এই প্যাকেজের আওতায় ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, হেভি ট্রাক ও ফার্নিচারের উপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হবে, যেখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা স্থাপন না করলে পেটেন্টযুক্ত ওষুধের উপর 100% শুল্ক আরোপ করা হবে।

ট্রাম্প ফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন

এই সিদ্ধান্ত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা উসকে দিয়েছে। তারা একে সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য কার্যক্রমের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে এবং রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া কঠিন করে তুলতে পারে। এই খাতের প্রতিনিধিরা ওষুধের মূল্যের সম্ভাব্য বৃদ্ধি ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে উদ্ভাবনের হ্রাসের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিনিয়োগকারীরাও নতুন এক বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা করে আতঙ্কিত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির স্টকের মূল্যে ধস নেমেছে, এবং বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের উপর নির্ভরশীল প্রযুক্তি খাতও নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছে।

ট্রাম্প বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, "2025 সালের 1 অক্টোবর থেকে আমরা যেকোনো ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্টযুক্ত ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের উপর 100% শুল্ক আরোপ করব, যদি না কোম্পানিটি আমেরিকায় তাদের ফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্ট নির্মাণ করে। অতএব, যদি ইতোমধ্যে প্ল্যান্ট নির্মাণকাজ শুরু হয়ে থাকে, তবে সেই ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলোর উপর কোনো শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।"

ট্রাম্পের এই ঘোষণাটি নতুন খাতভিত্তিক শুল্কের একটি অংশ, যা আগামী বুধবার কার্যকর হবে। আমদানিকৃত হেভি ট্রাকের উপর 25% শুল্ক, কিচেন ক্যাবিনেট ও বাথরুম ভ্যানিটির উপর 50% শুল্ক এবং আমদানিকৃত আসবাবপত্রের উপর 30% কর আরোপ করা হবে।

ট্রাম্পের পোস্টে আর কিছু বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। প্রেসিডেন্টের বর্ণিত ফার্মাসিউটিক্যাল খাত বিষয়ক পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রে কার্যরত কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যাপক ছাড় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। হোয়াইট হাউস এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ব্লুমবার্গের তথ্যানুসারে, ব্র্যান্ডেড ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের উপর নতুন শুল্ক মার্কিন কাস্টমস ডিউটি গড়ে 3.3 শতাংশ পয়েন্ট বাড়াতে পারে, যদিও দেশীয় উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করা কোম্পানিগুলোর জন্য ছাড় এই প্রভাবকে ছাপিয়ে যেতে পারে। সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যদিও যুক্তরাজ্যও যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানি করে। বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে বলা হয়েছিল, নতুন সেকশন 232 শুল্ক কার্যকর হলে বিশেষ হারের কথা বিবেচনা করা হবে, তবে কোনো আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মত হার নির্ধারণ করা হয়নি। জাপানের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের উপর মার্কিন নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনাও বিবেচনা করছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে যত চিপ উৎপাদন করবে, ততটাই বিদেশেও উৎপাদন করতে চাপ দেবে।

EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1710 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। শুধুমাত্র তখনই মূল্যের 1.1740-এ পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1770-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। বুলিশ প্রবণতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1820-এর লেভেল। যদি ইনস্ট্রুমেন্টটির মূল্য নিম্নমুখী হয়, আমি শুধুমাত্র মূল্য 1.1660 লেভেলের কাছে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় আগ্রহের প্রত্যাশা করব। যদি সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখল ক্রেতারা উপস্থিত না থাকে, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1615 লেভেলে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করা অথবা 1.1575 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা আদর্শ হবে।

GBP/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ড ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3380-এ পুনরুদ্ধার করতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা মূল্যকে 1.3420-এর লেভেলের দিকে নিয়ে যেতে পারবে, যদিও এই লেভেল ভেদ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সবচেয়ে দূরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3460 লেভেল। নিম্নমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে, সম্ভবত মূল্য 1.3325 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে ও মূল্য এই রেঞ্জ ভেদ করলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানে গুরুতর আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3280-এর দিকে চলে যাবে, যেখানে সম্ভাব্যভাবে 1.3240 পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...