যেহেতু মার্কিন কংগ্রেসে দেশটির নেতৃবৃন্দ বাজেট চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি, তাই মার্কিন ফেডারেল সরকারের শাটডাউন কার্যত অনিবার্য হয়ে পড়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে, গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন বিলম্বে প্রকাশিত হতে পারে এবং ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে অস্থিরতা যেতে যেতে পারে। আমরা এই অচলাবস্থার কারণ, সম্ভাব্য সংকটের চিত্র এবং ডলার, মার্কেট ও সামগ্রিক মার্কিন অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করছি।
সর্বশেষ খবর: আলোচনা ভেস্তে গেছে, রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে
সম্ভাব্য শাটডাউনের একদিন আগে ওয়াশিংটনের পরিস্থিতি বড় ধরনের সংকটের রূপ নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে আলোচনায় ন্যূনতম অগ্রগতিও হয়নি।
ফেডারেল তহবিল শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময় বাকি থাকলেও দলগুলো মৌলিকভাবে বিভক্ত রয়েছে, ফলে শেষ মুহূর্তে সমঝোতার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য।
মূল বিতর্কিত বিষয় হলো হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত স্বল্পমেয়াদি ব্যয় বিল। সিনেটে এটি পাশ করাতে হলে অন্তত আটজন ডেমোক্র্যাট সিনেটরের সমর্থন প্রয়োজন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিরা খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছেন যে তারা এই বিলকে সমর্থন করবেন না, যদি না এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সেবা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়: ACA (ওবামাকেয়ার) স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকির মেয়াদ বৃদ্ধি, নতুন মেডিকেইড কাটছাঁট প্রত্যাহার, এবং প্রশাসন কর্তৃক বাজেটে একতরফা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষা।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কঠোর অবস্থান নিয়েছেন, তিনি প্রকাশ্যে তহবিল বাধাগ্রস্ত করার জন্য ডেমোক্র্যাটদের দোষারোপ করছেন এবং সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হলে ব্যাপক ফেডারেল কর্মীদের ছাঁটাইয়ের হুমকি দিচ্ছেন। উভয় দলের নেতারাই ধারণা করছেন যে এই অবস্থানের পরিবর্তন না হলে শাটডাউন কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে।
অচলাবস্থাকে আরও জটিল করেছে দলীয় বিভাজন: সিনেটে আনুষ্ঠানিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রিপাবলিকানদের কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সিনেটরের সমর্থন দরকার, একইসাথে তাদের নিজেদের দলের কিছু সদস্যও এই অস্থায়ী বাজেটের বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন। কিছু ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানোর মতো আপসের প্রচেষ্টা এখনও কোনো ফল দেয়নি।
নির্ধারিত সময়সীমার প্রাক্কালে আইনপ্রণেতারা স্বীকার করেছেন যে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে এবং শাটডাউন এড়ানোর সম্ভাবনা ন্যূনতম। এই প্রেক্ষাপটে মার্কেটে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে: বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন, কারণ ফেডারেল প্রতিষ্ঠানগুলোর অচলাবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশ বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা মার্কেটকে প্রভাবিত করছে।
শাটডাউন কীভাবে কাজ করে: প্রক্রিয়া, আইন এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
"শাটডাউন"—মার্কিন ফেডারেল সরকারের কার্যক্রমের সাময়িক বন্ধ—দেশটির বাজেট প্রক্রিয়ার অংশ।
প্রতিটি অর্থবছরে কংগ্রেসকে ১২টি বরাদ্দ বিল অনুমোদন করতে হয়, যা সরকারি সংস্থার ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে। যদি ১ অক্টোবর, নতুন অর্থবছরের শুরুতে, সম্পূর্ণ প্যাকেজ বা অন্তত একটি অস্থায়ী বাজেট সমাধান (কন্টিনিউয়িং রেজোলিউশন, CR) গৃহীত না হয়, তবে ফেডারেল সংস্থাগুলো আইনি ভাবে অর্থ ব্যয়ের অধিকার হারায় এবং শাটডাউনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
সব সরকারি কার্যক্রম সমানভাবে প্রভাবিত হয় না। ফেডারেল সেবাগুলোকে "প্রয়োজনীয়" এবং "অপ্রয়োজনীয়" হিসেবে ভাগ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিরক্ষা বিভাগ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, জননিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীরা বেতন ছাড়া কাজ চালিয়ে যান—কারণ তাদের কার্যক্রমকে জাতীয় নিরাপত্তা এবং পরিচালনার জন্য অপরিহার্য হিসেবে ধরা হয়।
তবে বিপুল সংখ্যক সিভিল সার্ভিস কর্মী এবং সংস্থা—যেমন ন্যাশনাল পার্ক, জাদুঘর এবং কিছু বিশ্লেষণী ও পরিসংখ্যান সংস্থা—বেতন ছাড়া ছুটিতে পাঠানো হয়।
এই কাঠামোর আইনি ভিত্তি অ্যান্টিডেফিসিয়েন্সি অ্যাক্ট থেকে এসেছে, যা ১৯শ শতকের শেষ দিকে পাস হয় এবং ১৯৮০-এর দশকে কঠোর করা হয়। কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত নয় এমন অর্থ ব্যয় করা আইনত নিষিদ্ধ, এবং এর লঙ্ঘন ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে।
১৯৮১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বার সরকারী কার্যক্রমের শাটডাউন হয়েছে, যেগুলোর সময়কাল একদিন থেকে শুরু করে ২০১৮–২০১৯ সালের শীতে রেকর্ড ৩৫ দিন পর্যন্ত ছিল। কারণগুলোর মধ্যে বাজেট বিরোধ, সামাজিক নীতিমালা, স্বাস্থ্যসেবা, অভিবাসন এবং ফেডারেল তহবিলের অগ্রাধিকার নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব অন্তর্ভুক্ত ছিল। আধুনিক ইতিহাসে, কংগ্রেসের মধ্যে দলীয় বিভাজন এবং উভয় দলের মধ্যে চরমপন্থী গোষ্ঠীর উত্থান সংক্রান্ত বাজেট নিয়ে "ব্ল্যাকমেইল"কে রাজনৈতিক চক্রের একটি অভ্যাসে পরিণত করেছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শাটডাউনকে সরকারি বন্ডের ডিফল্টের সাথে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়: এমনকি সরকারের সম্পূর্ণ অচলাবস্থার সময়ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সার্বভৌম ঋণ পরিষেবা চালিয়ে যায়। তবে, সরকারী কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক বিঘ্নতা জাতীয় অর্থনীতির ওপর আস্থা ক্ষুণ্ন করে এবং ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করে।
ডলার ও মার্কেটের জন্য এর ফলাফল কী হবে?
ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটের ক্ষেত্রে মার্কিন শাটডাউনের মূল প্রভাব নির্ভর করবে সংকটের স্থায়িত্ব এবং কত দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছানো যায় তার ওপর। তবে স্বল্পমেয়াদি সরকারী কার্যক্রমের স্থবিরতাই ইতোমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব এবং মার্কিন অ্যাসেটের মূল্যের ওপর চাপ তৈরি করছে।
প্রথমত, শাটডাউন মানে হলো প্রধান সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের প্রকাশ স্থগিত হয়ে যাবে, যার মধ্যে শ্রমবাজার, মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ সম্পর্কিত প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত—এগুলো ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অপরিহার্য, এবং এগুলো অনুপস্থিত থাকলে অনিশ্চয়তা বাড়বে এবং ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটের স্বচ্ছতা কমবে।
দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগকারীরা, যারা ঐতিহ্যগতভাবে ডলারকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন, তাঁরা বারবার বাজেট সংকটের মুখে এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ডলার স্বল্পমেয়াদে চাপের মুখে পড়ে থাকে: মার্কিন ডলার সূচক, যা বছরের শুরু থেকে প্রায় 10% পতনের শিকার হয়েছে, সোমবার আবারও 0.2% হ্রাস পেয়েছে, যদিও আগের সপ্তাহে স্বল্পমেয়াদে বৃদ্ধি পেয়েছিল।
মার্কেটে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে: গতকাল ট্রেডিং চলাকালে ডলারের দর ইয়েনের বিপরীতে 0.6% কমে 148.61-এ নেমে যায়, অন্যদিকে ইউরোর দর 0.3% বৃদ্ধি পেয়ে $1.1731-এ পৌঁছায়।
ফেড কর্তৃক আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয়করণের প্রত্যাশা মার্কিন গ্রিনব্যাকের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে—ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ডিসেম্বরের মধ্যে 42 বেসিস পয়েন্ট এবং 2026 সালের শেষ নাগাদ 100 বেসিস পয়েন্টেরও বেশি সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছেন।
তৃতীয়ত, স্টক মার্কেটের ক্ষেত্রে শাটডাউন মানে বাড়তি অস্থিরতা এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেঁটের দরপতন। সরকারি ব্যয় স্থবির হওয়া, লাখো ফেডারেল কর্মীর সাময়িক ছাঁটাই এবং সরকারি ক্রয়াদেশের বিলম্ব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে মন্থর করে। যেসব কোম্পানি সরকারি চুক্তির ওপর নির্ভরশীল, সেইসাথে সরকারি সংস্থার বেসরকারি কনট্রাক্টর এবং সাপ্লায়াররা আয়ের ঝুঁকির মুখে পড়ে।
বিশ্লেষকদের মতে, স্বল্পমেয়াদি শাটডাউন মার্কেটে বড় ধরনের কারেকশন আনবে না; তবে সরকারী কার্যক্রমের অচলাবস্থা যত দীর্ঘায়িত হবে, অর্থনীতি ও মার্কেটের ক্ষতিও তত বাড়বে। এই প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীরা অচলাবস্থার সময়কাল এবং কংগ্রেস কত দ্রুত ফেডারেল কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে পারে সেটির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখবে।
ট্রেডারদের জন্য জন্য: শাটডাউনের সময়কার কৌশল
বর্তমান বাজেট অচলাবস্থা এবং শাটডাউনের উচ্চ সম্ভাবনার মধ্যে বিশ্লেষকরা একমত যে বিনিয়োগকারী ও ট্রেডারদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং মার্কেটে বাড়তি অস্থিরতার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত, বিশেষ করে যদি সরকারী অচলাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
এলিয়াস হাদ্দাদ উল্লেখ করেছেন যে, যদি শাটডাউন স্বল্পমেয়াদি হয়, তাহলে ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভবত এটিকে উপেক্ষা করবে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে দীর্ঘস্থায়ী শাটডাউন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার ঝুঁকি বাড়ায় এবং ফেডকে নীতিমালার আরও নমনীয়করণের দিকে ধাবিত করতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে, এর ফলে মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড আরও কমে যেতে পারে, সেফ-হ্যাভেন অ্যাসেটের প্রতি বাড়তি আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে এবং বিশ্বের প্রধান মুদ্রাগুলর বিপরীতে ডলারের দরপতন হতে পারে।
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ
কারেন্সি ট্রেডারদের জন্য: স্বল্পমেয়াদে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা বিলম্বিত হওয়ার ঝুঁকির কারণে ডলার চাপের মুখে থাকবে। ডলার সূচকের পতনের ফলে ইউরো ও ইয়েন সাময়িকভাবে শক্তিশালী হতে পারে, বিশেষ করে যদি শাটডাউন ফেডের কার্যক্রমকে জটিল করে তোলে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে মন্থর করে। তবে ডলারের তীব্র দরপতনের সম্ভাবনা নেই—দীর্ঘমেয়াদি মৌলিক কারণগুলো অক্ষত রয়েছে।
স্টক মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য: যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ মার্কেটে অস্থিরতা বাড়বে, বিশেষত যেসব কোম্পানি সরকারি চুক্তি বা বাজেট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভরশীল (কনট্রাক্টর, সাপ্লায়ার, আইটি এবং অবকাঠামো খাত)। সরকারী অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ঝুঁকি বেশি। যতক্ষণ না কংগ্রেসে সমঝোতার বিষয়টি স্পষ্ট হয় ততক্ষণ পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ এবং ক্যাশ অ্যাসেটের অংশ বাড়ানোর কথা বিবেচনা করুন।
বন্ডে বিনিয়োগকারীদের জন্য: স্বল্পমেয়াদি মার্কিন ট্রেজারি বিলের ওপর কিছুটা চাপ আসবে, অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ বিনিয়োগ যেমন স্বর্ণ, সুইস ফ্রাঁ, ইয়েন এবং জার্মান সরকারি বন্ডের চাহিদা বাড়তে পারে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে ট্রেজারি মার্কেটে মাঝারি পুনরুদ্ধার প্রত্যাশিত।
বিশ্লেষক টনি সাইকামোর উল্লেখ করেছেন যে ঐতিহাসিকভাবে শাটডাউনের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধারণত শাটডাউন শেষে দ্রুত পূরণ হয়, এবং মার্কিন অ্যাসেটের মূল্যের বড় ধরনের বৃদ্ধি কেবল দীর্ঘস্থায়ী বাজেট অচলাবস্থার সময়েই সম্ভব: "জিডিপির ওপর প্রভাব ন্যূনতম, কারণ যেকোনো বিঘ্নতা সাধারণত শাটডাউন শেষ হওয়ার পরপরই পুষিয়ে নেয়া হয়।" তবে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেডের আর আগের মতো সাময়িক ধাক্কা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।
সুতরাং, ট্রেডারদের জন্য মূল কৌশলগুলো হলো:
- ট্রেডিংয়ে লিভারেজ এবং পজিশনের লিমিট উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা।
- পরিস্থিতি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত ডলার এবং মার্কিন স্টক সূচকে বড় ধরনের বিনিয়োগ থেকে সাময়িক বিরত থাকা।
- কংগ্রেস থেকে আসা খবর, অস্থায়ী সমাধান ঘোষণাসহ বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন দিকে নিবিড় দৃষ্টি রাখা—প্রতিবেদন অভাব মৌলিক বিশ্লেষণকে জটিল করবে এবং মার্কেটের ট্রেডারদের আবেগনির্ভর বিষয়ের প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তুলবে।
অবশেষে, শাটডাউন পুরো সিস্টেমের জন্য আবারও একধরনের স্ট্রেস টেস্ট হিসেবে কাজ করছে: মার্কেটে ইতোমধ্যেই কিছুটা ঝুঁকি প্রভাব বিস্তার করেছে, তবে ক্ষতির প্রকৃত মাত্রা নির্ধারিত হবে বাজেট সংকট কতদিন স্থায়ী হয় তার ওপর। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি সতর্কতা এবং নতুন কৌশলে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।