ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি শূন্য়ের অনেক নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1713 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। এই লেভেলের দ্বিতীয়বার টেস্ট হওয়ার সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড এরিয়াতে ছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা 2 কার্যকর হওয়ার সুযোগ দেয় এবং এর ফলে এই পেয়ারের দর 35 পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পায়।
ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর মার্কিন সরকারী শাটডাউনের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীরা ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্বিগ্ন হচ্ছেন যে রাজনৈতিক অস্থিরতা কীভাবে মার্কিন অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে, যা ডলারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। নতুন অর্থবছরের বাজেট অনুমোদনের সময়সীমা ঘনিয়ে আসার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। যদি মার্কিন কংগ্রেস কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তবে সরকারি সংস্থাগুলোকে সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে। এর ফলে জনপরিষেবা সীমিত হয়ে পড়বে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হবে এবং ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে অস্থিতিশীলতা বাড়বে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন যে দীর্ঘস্থায়ী শাটডাউন ডলারের উপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ এটি মার্কিন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর আস্থা দুর্বল করবে এবং সভারিন ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেডের ঝুঁকি বাড়াবে।
আজ জার্মানিতে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, দেশটিতে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি, বেকারত্বের হার, খুচরা বিক্রি, এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এছাড়া ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডও বক্তব্য দেবেন। মার্কেটের ট্রেডাররা বিশেষ করে জার্মান শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর গুরুত্ব দেবেন। পূর্বাভাসের তুলনায় ভিন্ন কোনো ফলাফল এলে কারেন্সি মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্ট ঘটতে পারে, যা সরাসরি ইউরোর মূল্যকে প্রভাবিত করবে। খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনও গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি বাড়লে ভোক্তা আস্থা ও শক্তিশালী অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে হ্রাস পেলে তা ভোক্তা ব্যয় হ্রাস ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দেয়। ভোক্তা মূল্য সূচকের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতির ফলাফলও ঘনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণ করা হবে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেলে কঠোর আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের সম্ভাবনা বাড়বে, যা ইউরোর দর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
আজকের মূল ইভেন্ট হবে লাগার্ডের বক্তব্য। ট্রেডাররা ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতির দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যত আর্থিক নীতিমালা নিয়ে তার মন্তব্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। তার বক্তব্য মার্কেটের সেন্টিমেন্ট এবং ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আজ আমি মূলত পরিকল্পনা নং 1 এবং নং 2 বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1770-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.17347-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1770-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র ইসিবির প্রতিনিধিগণ হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1730-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1747 এবং 1.1770-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1730-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1705-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে।
গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1747-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1730 এবং 1.1705-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।