ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামা শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3490 লেভেল টেস্ট করে, যা ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 40 পিপসের বেশি কমে যায়।
মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এবং ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত ডলারের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধার করেছে—বিশেষ করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে আরও ফেডের সতর্ক অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশার ক্ষেত্রে। এর ফলে মুনাফাভিত্তিক বিনিয়োগকারীদের কাছে মার্কিন ডলার আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ড চাপের মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে কারণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বর্তমানে ফেডের চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এমন এক সময়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, যখন দেশটির অর্থনীতি ইতোমধ্যে অবনতির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং মন্দার ঝুঁকিতে আছে।
আজ সকালেই যুক্তরাজ্যের পরিষেবা খাতের PMI এবং কম্পোজিট PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এছাড়াও, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির একটি বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। এই প্রতিবেদনগুলো এবং ইভেন্ট নিঃসন্দেহে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের মুভমেন্ট এবং সামগ্রিকভাবে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ঝুঁকির মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঐতিহাসিকভাবে, পরিষেবা PMI-কে যুক্তরাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান সূচক হিসেবে ধরা হয়, কারণ দেশটির জিডিপি কাঠামোর একটি বড় অংশই এই খাত থেকে আসে। সূচকটির মান ৫০-এর উপরে থাকলে সেটি ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে, আর ৫০-এর নিচে থাকলে সেটি কোণঠাসা পরিস্থিতি বা সংকোচন নির্দেশ করে। অন্যদিকে, কম্পোজিট PMI-এ পরিষেবা এবং উৎপাদন—এই দুই খাতের সম্মিলিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়, যা সামগ্রিক অর্থনীতির একটি বিস্তৃত চিত্র প্রদান করে। PMI প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল ফলাফল সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাসের ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আরও আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতিগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে পারে।
তবে, ট্রেডাররা সবচেয়ে বেশি নজর দেবে গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্যের দিকে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্য গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যাতে আগাম ভিত্তিতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার নির্ধারণ কৌশল সম্পর্কে কোনো সংকেত পাওয়া যায়।
আজকের দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2-এর বাস্তবায়নের ওপরই মনোযোগ দিব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3475-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3446-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3475-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ যুক্তরাজ্যে আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ বা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3417-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3446 এবং 1.3475-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3417-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3395-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ যেকোনো সময় মার্কেটে পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3446-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3417 এবং 1.3395-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।